ব্রণের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। চাল ধোয়া জলের অসাধারন কিছু কার্যকারিতা
সুন্দর উজ্জ্বল ত্বক কে না চায়?আর এর জন্য নামিদামি কোম্পানির ক্রিম, টোনার এর ব্যবহার থেকে শুরু করে ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন কোন কিছুই বাদ দিই না আমরা ।তবে এত টাকা খরচ না করে বা কোনরকম খাটনি ছাড়াই রোজ খুব সহজেই আমরা ত্বকের যত্ন নিতে পারি চাল ধোয়া জল ব্যবহার করে ।শুনতে অবাক লাগলেও এই চাল ধোয়া জল কিন্তু ত্বকের যেকোনো সমস্যায় খুবই উপকারী ।আর শুধু ত্বকের নয় চুলের যত্নেও এটি খুবই ভালো কাজ দেয়। প্রতিদিন বাড়িতে ভাত তো তৈরি হয় ই সেই সময় চাল ধোয়া জল টুকু রেখে দিন তারপর সেটাই ত্বকের নানা সমস্যা ও রূপচর্চায় ব্যবহার করে নিন ।
আসুন জেনে নেই কিভাবে এই চাল ধোয়া জল ব্যবহার করা যায় ত্বকেরও চুলের যত্নে
চুল উজ্জল ও নরম রাখতে
দূষণ,অযত্ন ক্রমে চুলকে করে তোলে দুর্বল ।ফলে চুল পড়া, চুল ফাটা,খুশকি প্রভৃতির সমস্যা দেখা দেয় চুলে ।শুধু তাই নয় চুলের ঔজ্জ্বল্য ও যায় দূর হয়ে ।এক্ষেত্রে পুনরায় ঝলমলে ও সুস্থ চুল পেতে ব্যবহার করুন চাল ধোয়া জল ।
প্রথমেই ভালো করে চুলে শ্যাম্পু করে নিয়ে কন্ডিশনার ব্যবহার করার বদলে চাল ধোয়া জল দিয়ে ভালো করে মাথার স্ক্যাল্পে ম্যাসেজ শুরু করুন। ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ভালো করে চুল আবার ধুয়ে ফেলুন জল দিয়ে ।সপ্তাহে মাত্র দুবার এই পদ্ধতি অবলম্বন করলেই দেখবেন কয়েক দিনেই আপনার চুলের পুরনো জৌলুস আবার ফিরে এসেছে ।
ব্রণের সমস্যা কমাতে
ব্রণের সমস্যায় আমরা সকলেই কমবেশি ভুগে থাকি ।মুখের ত্বকের ছিদ্র তে ধুলো-ময়লা ও তেল জমা হয় তা থেকে তৈরি হয় ব্রণ ।এক্ষেত্রে নিয়মিত ত্বকে যদি চাল ধোয়া জল আপনি ব্যবহার করেন তবে ত্বকের ছিদ্র ক্রমশ ছোট হয়ে আসবে এবং ত্বকের অতিরিক্ত তেল ও হবে দূর।ফলে আস্তে আস্তে ব্রোনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন আপনি।
ত্বক পরিষ্কার রাখতে
প্রত্যেকদিন ত্বক পরিষ্কার করার জন্য আমরা বিভিন্ন দামী টোনার ব্যবহার করে থাকি ।তবে জানেন কি চাল ধোয়া জল ও কিন্তু খুব ভালো ফেসিয়াল ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে ।মুখে মেকআপ এপ্লাই করার আগে বা কোন রকম ময়েশ্চারাইজার এপ্লাই করার আগে চোখ বন্ধ করে ব্যবহার করতে পারেন চাল ধোয়া জল । ত্বকের সতেজতা আনতেও চাল ধোয়া জলে তুলোর ডুবিয়ে ভালো করে গোটা মুখ এ ব্যবহার করতে পারেন ।দেখবেন ত্বক হয়ে উঠেছে মসৃণ ও ঝলমলে ।
রোদে পোড়া ত্বক ও জালা থেকে মুক্তি-
গরমে বাইরে গেলেই গোটা মুখের ট্যান পড়ে যায় সাথে সাথে ।আর সেই সাথে যদি থাকে আপনার সেনসিটিভ স্কিন তবে মুখে জ্বালা দেখা দেয় অনেক সময়। এক্ষেত্রে যে কোনো রকমের জ্বালা যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পেতে ব্যবহার করে দেখুন চাল ধোয়া জল ।
প্রথমে কিছুটা চাল ধোয়া জল বাইরে যাওয়ার আগে ফ্রিজে রেখে বের হন ।এরপর বাড়ি ফিরে ফ্রিজ থেকে বের করা ঠান্ডা চাল ধোয়া জল দিয়ে হাত, মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন দেখবেন নিমেষে ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল সেই সাথে যদি কোনরকম জ্বালা দেখা দেয় তোকে সেটাও মিটে যাবে সঙ্গে সঙ্গে ।
চুলে কন্ডিশনার হিসেবে
অনেকেই ফ্রিজি চুলের সমস্যায় ভুগে থাকেন ।বহু দামি প্রোডাক্ট ব্যবহার করার পরও মেলে না কোন ফল ।এক্ষেত্রে চুলের ফ্রিজ জিনিস দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন চাল ভেজানো জল ।
শ্যাম্পু করার পরে চাল ধোয়া জল এর সাথে অল্প পরিমাণ এসেন্সিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিয়ে ভালো করে চুলে 10 মিনিট লাগিয়ে রাখুন ।তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেললে দেখবেন সাথে সাথে চুলের যে কোনো রকম ফ্রিজিনেস দূর হয়ে গেছে ।নিয়মিত ব্যবহারে ক্রমে চুল হয়ে উঠবে কোমল ।
বয়সের ছাপ লুকাতে
চাল ধোয়া জলে রয়েছে ভিটামিন সি ও অন্যান্য খনিজ উপাদান ।ফলে ত্বক থেকে যেকোন রকম ফাইন লাইন্স ও রিংকেল দূর করতে এর মত ভাল কাজ কম জিনিসই দেয় ।নিয়মিত মুখে চাল ধোয়া জল ব্যবহার করলে তোকে যেমন ফিরে আসবে আদ্রতা তেমনি মুখের যেকোনো দাগ দূর করে দেবে এটি ।
এই চাল ধোয়া জল এর রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা তবে মনে রাখবেন চাল ধোয়া জল ত্বকে ব্যবহারের জন্য প্রথমে কিন্তু চাল ধুয়ে যাবতীয় নোংরা ও ময়লা পরিষ্কার করে নেবেন।তারপরে সেই পরিষ্কার চাল 15 মিনিট জলে ভিজিয়ে রেখে তারপর এই সেটি মুখে ব্যবহার করবেন ।তা নাহলে নোংরা জল ব্যবহার করলে ত্বকের ভালো হওয়ার বদলে ক্ষতি হবে বেশি ।