মস্তিষ্কের টিউমার! কিভাবে বুঝবেন?
মানুষের মস্তিষ্কের মধ্যে দুই ধরনের টিস্যু থাকে—নিউরন ও তার সাপোর্টিং টিস্যু। মস্তিষ্কের আবরণের নামকে বলে মেনিনজেস। মস্তিষ্কের টিউমার সাধারণত সাপোর্টিং টিস্যু, মেনিনজেস এবং কিছু গ্রন্থি থেকে হয়ে থাকে। বয়সভেদে টিউমার বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে; যেমন—শিশুদের কিছু টিউমার বেশি হয় আবার বড়দের ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম।
মস্তিষ্কের টিউমারের প্রকারভেদ-
১. টিউমার মানেই যে ক্যান্সার, তা কিন্তু নয়। এই টিউমার দুই প্রকারের হয়—ম্যালিগন্যান্ট বা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী টিউমার এবং ২. বেনাইন টিউমার, যা তুলনামূলক ভালো। ক্যান্সার সৃষ্টিকারী টিউমারকে প্রাইমারি টিউমার ও সেকেন্ডারি টিউমার—এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
মস্তিষ্কের বেশির ভাগ টিউমারের কারণ অজানা। যেসব কারণে এই টিউমারের ঝুঁকি বাড়ে তার মধ্যে বংশগত হচ্ছে নিউরোফাইব্রোমেটোসিস। এ ছাড়া রাসায়নিক পদার্থ এবং তেজস্ক্রিয়তার সংস্পর্শেও এই টিউমার হতে পারে।
কিন্তু কি লক্ষণ দেখে বুঝবেন যে মস্তিষ্কে টিউমার হয়েছে চলুন জেনে নেওয়া যাক-
- মাথা ব্যথা
- খিঁচুনি
- বমি হওয়া (সাধারণত সকালবেলা হয়)
- দৃষ্টির সমস্যা
- আচরণগত পরিবর্তন।
আবার মস্তিষ্কের জায়গাভেদে আরো কিছু লক্ষণ আছে, যেগুলো দেখে চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন মস্তিষ্কের কোথায় টিউমার হয়েছে।
শিশুদের ক্ষেত্রে বমি, খিঁচুনির পাশাপাশি মস্তিষ্কের মধ্যে জল জমে, যাকে হাইড্রোসেফালাস বলে। মস্তিষ্কের টিউমার হলে ভয় না পেয়ে তাকে সচেতনভাবে মোকাবিলা করতে হবে। এ জন্য লক্ষণ প্রকাশ পেলে দেরি না করে নিউরোসার্জনের বা নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।