অফবিট

সিরাজউদ্দৌলার প্রিয় ঘেঁষটি বেগমের মৃত্যু কেন হয়েছিল?

নিউজ ডেস্ক   –    ইতিহাস হচ্ছে এমন একটি জায়গা যেখানে বহু অপ্রকাশিত ঘটনা সমাধিস্থ করা থাকে। ঠিক সেরকমই একটিং ইতিহাস লেখা রয়েছে ঘষেটি বেগমকে  কেন্দ্র করে। এক কথায় বলা হয় নবাব আলীবর্দী খাঁর বড় কন্যা মেহের উন নিসা বেগম হলেন ঘষেটি বেগম।  এই বেগম পৃথিবীর শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার বড় মাসতুতো বোন ছিলেন।  ঘষেটি বেগম ঢাকার নায়েব নাজিম নওয়াজিস মহম্মদ শাহমাত  জংয়ের  ধর্ম পত্নী ছিলেন। প্রাচুর্যের দিক থেকে তার কোন অভাব ছিল না কিন্তু দম্পতিরা ছিলেন নিঃসন্তান।  সে কারণে সন্তান সুখ মেটাতে বেগম তার ছোট বোন আমেনা বেগমের ছোট ছেলে ইকরামউদ্দৌলাকে  দত্তক নেন।  তবে ভাগ্যের ফেরে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বসন্ত রোগে মারা যান তিনি। এমতাবস্থায় পুত্র হারার শোকে কিছুদিন পর নওয়াজিশ ও দেহ রাখেন। এক্ষেত্রে নবাবের সকল দম্পতির একমাত্র মালিকানা পায় বেগম ঘষেটি।  

পরবর্তীতে গাড়ির আবেদন চেয়ে ছিলেন তার পিতা আলীবর্দী খাঁর মৃত্যুর পর সিংহাসনে বসে দ্বিতীয় বোনের পুত্র শওকত  জং। কিন্তু সেটা হয়নি কারণ নবাব আলীবর্দী খাঁর ইচ্ছায় সিরাজুল্লাহ ক্ষমতায় বসে। সে ক্ষেত্রে নিজের পরিকল্পনা সফল না হওয়ায় অন্তর থেকে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ঘষেটি বেগম। এবং স্বার্থ চরিতার্থ করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন তিনি। 

পরবর্তীতে সেনাপতি মীর জাফর এবং ব্যবসায়ী জগৎ শেঠ ও তুমি চাঁদের সঙ্গে গোপনে ষড়যন্ত্র করে ইংরেজদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পলাশির  যুদ্ধ ময়দানে ধরাশায়ী করে সিরাজউদ্দৌলাকে। সে কারণে ইংরেজদের হস্তক্ষেপে সিংহাসনে বসে মীরজাফর। কিন্তু এখানেও দেখা দেয় সমস্যা। 

মীরজাফর সিংহাসনে বসলেও ইংরেজদের অঙ্গুলিহেলনে দিয়ে কাজ করায় ঘষেটি বেগম নিজের কোন স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি।  তাই মীরজাফর এবং তার পুত্র মিলনের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে  পরে বেগম।  তুমি সর্বস্ব হারিয়ে গেল কূটনৈতিক চিন্তাধারা তুখর ছিল ঘষেটি বেগমের। সেই কারণে আগামী দিনে বেগম বিপদজনক হতে পারে মনে করেই মীরজাফর ও তারপুত্র ঘসেটি বেগমকে মিরন বন্দী করেন এবং  নৌকা যোগে মুর্শিদাবাদে নিয়ে যাওয়ার সময় ইচ্ছাকৃত নৌকাডুবির ঘটনা ঘটিয়ে সলিল সমাধি ঘটে বেগমের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *