কেন শুধুমাত্র রামচন্দ্রই মহাদেবের ধনুক ভাঙতে পেরেছিলেন?
নিউজ ডেস্ক: রামায়নের সীতা হলেন মুখ্য চরিত্রগুলিদের মধ্যে একজন।যার স্বয়ংবর সভার কথা তো সবাই জানেন যে সীতার স্বয়ংবরে একটি বিশেষ ধরনের ধনুক ছিল এবং বলা হয়েছিল যে ওই ধনুকটি যে রাজা ভাঙতে পারবে তাঁর সাথে বিবাহ হবে সীতার।আর ওই স্বয়ংবরে উপস্থিত অনেক শক্তিশালী রাজাদের মধ্যে কেবল রামচন্দ্রই ওই ধনুকটি ভাঙতে সক্ষম হয়েছিলেন।কিন্তু আপনাদের মনে মধ্যে কি কখনও এই প্রশ্নটা জেগেছে যে এই বিশেষ ধনুকটি কার ছিল? কিভাবেই বা রাজা এবং কেন শুধুমাত্র রামচন্দ্রই এই ধনুকটি ভাঙতে পেরেছিলেন? না জানালে জেনে নিন এই বিশেষ ধনুকটির সম্পর্কে।
সীতার স্বয়ংবরে থাকা ধনুকটি ছিল দেবাদিদেব মহাদেবের।ওই ধনুকটিতে যে ব্যক্তি ঘুন পরাতে পারবে তাঁর সাথেই সীতার বিবাহ হবে বলে ঘোষণা করেন জনক।উচ্চশক্তির অধিকারী ওই ধনুকটিকে ওই সময়কার ব্রহ্মাস্ত্র নিক্ষেপ করার অস্ত্র হিসাবে বলা হয়। এদিকে রাবণ ছিল অত্যন্ত জ্ঞান এবং শিব ভক্ত।তাই তার ওই ধনুকের উপর নজর ছিল। তিনি মনে করেন যে তিনি যেহেতু মহাদেবের বড় ভক্ত তাই তিনি ওই ধনুকে ঘুন পাড়াতে পারবে। মহাদেবের ধনুক টি যদি রাবণের মত একটি রাক্ষসের কাছে চলে যায় তাহলে সৃষ্টির বিনাশ হবে। রাজা জনক সীতা ঋষি বিশ্বামিত্রের এবং পরশুরাম এই চারজন এই শক্তিশালী ধনুকটির কার্যকলাপ সম্পর্কে জানতেন। তাই এই ধনুকটি রাবণ যাতে না পায় তার জন্য আগে থেকেই ঋষি বিশ্বামিত্র এই শক্তিশালী ধনুকটির কার্যকলাপ সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছিলেন রামকে। তবে রামচন্দ্রের হাতে ওই ধনুকটি ভেঙে যাওয়ায় পরশুরাম খুবই ক্রুদ্ধ হয়ে যান।তখন পরশুরামের ক্রোধ শান্ত করার জন্য বিশ্বমিত্র তাকে বলেন যে ওই ধনুকটি রামচন্দ্রের ভুলে ভেঙে যায়নি পুরনো হবার জন্য ভেঙে যায়। এটি শোনার পর পরশুরামের ক্রোধ শান্ত হয়। আর এভাবেই রামচন্দ্র মহাদেবের ওই শক্তিশালী ধনুকটির বিনাশ করে।