অফবিট

মাছ বিক্রি করতে ছেলেদেরকে শারীরিক মিলন করতে হয়

নিউজ ডেস্ক –  নানা মানুষ নানা রকম ব্যবসা নিয়ে নিজের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে। তবে একটি দেশ রয়েছে যেখানে মাছের চাহিদা প্রচুর। কিন্তু সেই তুলনায় জোগান কম থাকায় নারীদের করতে হয় ছেলেদের সঙ্গে শারীরিক মিলন। শুধুমাত্র মাছ পাওয়ার আশাতে। বিষয়টি বড়ই অদ্ভুত কিন্তু বাস্তব। এমন আজব দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায় কেনিয়ায় ভিক্টোরিয়া লেকে। এই শহরে মাছের চাহিদা বেশি ও মাছের জোগান কম থাকার জন্য অনেকেই ছেলেদের সঙ্গে যৌন মিলন লিপ্ত হয়।

কিন্তু যারা এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে অনিচ্ছুক তারা সেখানকার স্থানীয়  টেনিস কোর্টের অর্ধেক জলাশয়ে মাছ চাষ করে। যার কারণে তাদেরকে আর ভিক্টোরিয়া  লেকে যেতে হয়না। এমনই বিকল্প পথ বেছে নিয়েছে আনজাঙ্গোর পরিবার।

আনজাঙ্গো সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা তরুণ বয়স থেকেই এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। অর্থাৎ ১৪ বছর ধরে এই ব্যবসা করে চলেছেন তারা। স্থানীয়রা  এই ব্যবসাকে নাম দিয়ে থাকেন ‘জাবোয়া’। আনজাঙ্গোদেরও জেলেদের কাছ থেকে মাছ পাওয়ার জন্য তাদের সঙ্গে শারীরিক মিলন করতে হয়। যার কারণে অধিকাংশ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে নানা রকম যৌন সংক্রান্ত রোগ যেমন এইডস, এইচআইভি ইত্যাদি।

মাছ ধরার পদ্ধতি অনুযায়ী এখানে দেখা যায় ভিক্টোরিয়া লেকে ভোর হতেই মাছ ধরতে নৌকা নিয়ে বেরিয়ে পড়ে পুরুষরা। এখানে মেয়েদের মাছ ধরার কোন অনুমতি নেই। তাই পুরুষরা মাছ ধরে যখন বেলার দিকে বাড়ি ফেরে তখন কার ঝুলিতে কত পরিমাণে মাছে রয়েছে সেটি দেখেই মাছ বিক্রেতারা বুঝতে পারেন। আর এখানে বলে রাখা ভালো মাছ বিক্রেতা হিসেবে এখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেয়েদেরকে দেখা যায়। সুতরাং যে জেলে বেশি মাছ ধরেছে তার কাছেই সকল মাছ বিক্রেতারা নিজেদের চাহিদা মেটাতে যায়। তাদের কাছে মাছের মূল্য হিসেবে  ৩৫ কেজি ওমেনার দাম  প্রায় ১০০০ কেনিয়ান শিলিং (৮.৫০ ইউরো/৮৫০ টাকা)৷ এই অর্থ দেওয়ার পরেও বাকি উপরি পাওনা হিসেবে তাদের সঙ্গে যৌন মিলন করতে হয়। কারণ এই শহরে ওমেনা মাছের চাহিদা অধিক। সেই তুলনায় পুকুরে মাছের সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে পরিবেশ দূষণের কারণে। ‌ তাই সেই মাছ সংগ্রহ করতে যেকোনো মূল্যে চোকাতে রাজি মাছ বিক্রেতা মহিলারা।জাবেরিয়া পদ্ধতিতে মাছ ধরার প্রকল্পটি কেনিয়া ছাড়াও ছড়িয়ে পড়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ উগান্ডা এবং তানজানিয়াতেও। তবে এই যে পদ্ধতিতে এই ব্যবসাটি ছড়াচ্ছে ঠিক সেই ভাবেই যৌন সংক্রান্ত রোগও ছড়িয়ে পড়ছে। তবে এর থেকে বাঁচার উপায় হচ্ছে একটি এই ব্যবসা পরিত্যাগ করতে হবে মহিলাদের। এই ব্যবসা ছাড়ার পরেই তারা সুস্থ জীবন পেতে পারেন। যার কারণে বিভিন্ন সংস্থার হাত ধরে অনেক মহিলাই আজকে কাদামাটির চুলা তৈরির ব্যবসায় সঙ্গে জড়িত হয়েছে। যার কারণে এইডস ও এইচআইভির মতো মারণ রোগের সংখ্যা দ্রুততার সঙ্গে  হ্রাস হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *