প্রাপ্ত বয়স্কদের তুলনায় বাচ্চাদের শরীরে হাড়ের সংখ্যা বেশি থাকে। বিজ্ঞানের অবাক করা কিছু তথ্য
নিউজ ডেস্ক– জীববিজ্ঞান অর্থাৎ বায়োলজি হলো এমন একটি জায়গা যেখানে ভূমিষ্ঠ হওয়া থেকে শুরু করে মানুষের অন্তিম সময় পর্যন্ত সকল বৃত্তান্ত দেওয়া থাকে। তবে এমন কিছু তথ্য রয়েছে যেগুলো বলতে গেলে অপ্রকাশিত রয়ে গিয়েছে। বর্তমানে প্রকাশ্যে আসতেই ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য।
জীব বিজ্ঞানের কিছু অপ্রকাশিত জিনিস হচ্ছে
১) মানবদেহে রক্ত সঞ্চালন হয় বলেই সে জীবিত থাকে। তবে কর্নিয়া শরীরে একমাত্র অঙ্গ যেখানে রক্ত সরবরাহ করে না। এখানে সরাসরি বাতাস থেকে অক্সিজেন পায়।
২) একজন স্লিম ফিগার মানুষ দেহে এত পরিমাণ ফ্যাট থাকে যে তার থেকে ৭টি সাবানের বার তৈরী করা সম্ভব।
৩) গর্ভাবস্থায় একজন মহিলার তিন মাস অতিক্রান্ত করলেই ভ্রূণের আঙ্গুলের ছাপ দেখা যায়।
৪) একজন সুস্থ মানুষের দেহে হাড়ের সংখ্যা ৩০০ টি কিন্তু মৃত্যু পর্যায়ে পৌঁছেছে হাড়ের সংখ্যা হয়ে যায় ২০৬টি। তবে অধিকাংশ মানুষেরই হাড়ের এক-চতুর্থাংশ থাকে পায়ে।
৫) অন্যদিকে প্রাপ্ত বয়স্কদের তুলনায় বাচ্চাদের শরীরে হাড়ের সংখ্যা বেশি থাকে। প্রায় ৯৪টি অধিকারের হাড়ের উপস্থিতি পাওয়া যায়।
৬) স্তন্যপায়ী প্রাণীদের শরীরে ডাইভিং মেকানিজম সিস্টেম উপস্থিত থাকে যার কারণে তারা ডুবে যাওয়া থেকে বিরত থাকে।
৭) মানব শরীরের বেশ কিছু অংশ রয়েছে যেগুলো দীর্ঘক্ষন সচল থাকতে পারে। তাদের মধ্যে একটি হচ্ছে হৃদপিন্ড। এরা মানব শরীর থেকে আলাদা হয়ে গেলেও দীর্ঘক্ষণ সচল থাকে।
৮) অক্সিজেন ছাড়া মানুষের বেঁচে থাকা অসম্ভব। কিন্তু পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে মানুষের মস্তিষ্ক অক্সিজেন ছাড়া বেঁচে থাকতে পারে ৫-১০ মিনিট।
৯) মহাশূন্যে কি নিজেদের ভর শূন্য মনে হয়। তবে সেখানে মহাকাশচারীরা ২ ইঞ্চি পর্যন্ত নিজেদেরকে লম্বা করতে পারে।
১০) সকলের শরীরে টিউমার থাকে। যাদের ক্ষেত্রে টিউমার ম্যালিগন্যান্ট হয়ে যায় তাদের শরীরে রোগের প্রবণতা দেখা যায়। সেই ক্ষেত্রে দাঁত ও চুলের বৃদ্ধির লক্ষ্যনীয় হয়। এই রোগটিকে বলা হয় টেরিটোমা।
১১) অধিকাংশ পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যারা চরম অনাহারে ভোগেন তাদের মস্তিষ্ক নিজেরাই নিজেকে খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করা।
১২) অনেকেই গান শুনতে পছন্দ করেন। তবে এই গানের তালে তালে নিত্য প্রদর্শনীর পাশাপাশি হার্টবিট সিঙ্ক করে।
১৩) মানুষের দেহের রক্ত নালীর সংখ্যা লক্ষাধিক। গণনা করা প্রায় অসম্ভব। তবে মানবদেহে রক্তনালী রয়েছে ১ লক্ষ।
১৪) খাদ্য গলাদ্ধকরণের সময় শ্বাস প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। সুতরাং একসঙ্গে শ্বাস নেওয়া এবং খাদ্য গলাধঃকরণ করা যায় না।
১৫) শরীরের সঙ্গে প্রতিনিয়ত ক্রমবর্ধমান থাকে কান ও নাক।
১৬) মানুষের ক্ষুদ্রান্তটির আয়তন হয় ২৩ ফুট।
১৭) আবার অন্যদিকে দেখা যায় বাম কিডনিতে উনার ডান কিডনি কিছুটা উপরে থাকা। দুটি কিডনি একই সরলরেখায় থাকে না।
১৮) মানুষের জিহ্বায় আঙ্গুলের ছাপের মত প্রিন্ট থাকতে পারে যদিও এটি বিরল ঘটনা।
১৯) গর্ভাবস্থা চলাকালীন মহিলাদের মস্তিষ্ক সংকুচিত হয়ে যায়।
২০) পাকস্থলীতে একপ্রকার অ্যাসিড নিঃসরণ হয় যা খাদ্য পাচনে সহায়তা করে।
২১) মানবদেহের সবচেয়ে শক্তিশালী অঙ্গ হল চোয়ালের পেশী।
২২) প্রাপ্ত বয়স্কদের তুলনায় কম সংখ্যক পলক ফেলে শিশুরা। যেখানে একজন প্রাপ্তবয়স্ক গড়ে প্রতি মিনিটে দশবার পালক ফেলে যেখানে একটা শিশু মিনিটে একবার বা দু’বার পালক ফেলে।
২৩) ক্যামেরা থেকেও বেশি ছবি ক্যাপচার করার ক্ষমতা থাকে মানুষের চোখে। সেই ক্ষেত্রে মানুষের চোখের মণি ৫৭৬ মেগাপিক্সেলের হয়।
২৪) ব্যাকটেরিয়ামুক্ত সকল দ্রব্যাদি ব্যবহার করলেও জীবাণু ছাড়া মানুষের শরীরে অবস্থিত থাকেনা। প্রতিটা মুহুর্তে একজন মানুষ নিজের দেহে প্রায় ৪ পাউন্ড ব্যাকটেরিয়া বহন করা।
২৫) সর্বোচ্চ ১১৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট জ্বর পর্যন্ত মানুষ বেঁচে থাকতে পারে।
২৬) মানুষের হাতের সবচেয়ে বেশি শক্তি থাকে ছোট আঙ্গুলে। সেখানে অর্ধশতাংশ অর্থাৎ ৫০শতাংশ শক্তি ওই আঙ্গুল থেকেই পায় মানুষ।
২৭) মহিলাদের শরীরের সবচেয়ে বৃহত্তম কৌশলের ডিম্বাণু। যেটা অবশ্য পুরুষদের শরীরে শুক্রাণু ছোট কোষে পরিণত হয়।
২৮) সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে মানুষ নিজের জীবন দশায় যত পরিমাণ থুতু নিঃসরণ করে সেটি একত্রিত করলে একটি সুইমিং পুলে পরিণত হবে।
২৯) মানুষ ঘাস হজম করতে পারে না। পেটের সমস্যা দেখা দেয়। শিশুর পেটে বুকে শব্দ হয় যাকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় বলে বোরবরাইগমাস।