লাইফস্টাইল

খাওয়ার তালিকায় রকমফের আনুন। বাচ্চাদের খাওয়ানোর টিপস গুলি জানেন?

নিজস্ব সংবাদদাতা : বর্তমান সময়ে বাচ্চাদের খাওয়ানো একপ্রকার চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতিটি বাবা মায়ের কাছে।”এটা খাবো না,ওটা খাবো না”বায়না অনবরত লেগেই আছে তাদের মুখে।ফলে শিশু পুষ্টিগুণ কতটা পাচ্ছে এ সন্দেহ তো আছেই উপরন্তু বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন বাবা – মা রাও।এর পাশাপাশি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে আসছে তা হলো বাবা মায়েরা তাদের বাচ্চাদের খাবার তো খাওয়াচ্ছেন ঠিকই কিন্তু সেই খাবার কতটা পুষ্টিকর তা নিয়েও প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।শিশুরা পুষ্টিকর খাবার না খাওয়ার কারণে বিভিন্ন অপুষ্টিজনিত রোগে ভুগছে। অতিরিক্ত স্থূলতা ,স্কার্ভি,রিকেটস কিংবা রক্তাল্পতার মত জটিল রোগে জর্জরিত তারা।

বিশেষজ্ঞদের মতে অপুষ্টির প্রধান কারণ হিসেবে যা উঠে এসেছে তা হলো জনসংখ্যার বৃদ্ধি,দারিদ্রতা,পুষ্টি সম্পর্কে অজ্ঞতা ও জনসচেতনতার অভাব। দরিদ্র পরিবারগুলোতে খাদ্যের সহজলভ্যতা না থাকার কারণে পরিবারের শিশুরা অপুষ্টির শিকার হচ্ছে। যুক্তরাজ্য জুড়ে , শিশুদের অপুষ্টি জনিত রোগ মোকাবিলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল প্রি স্কুল।যাদের দায়িত্ব ছিল  শিশুদের উপর মনোযোগ দেওয়া এবং এর পাশাপাশি শিশুদের উৎসাহী করতে বাবা মায়ের ক্লাস নেওয়া।তবে একথা সত্যি,শিশুরা যদি অপুষ্টিতে এভাবে ভুগতে থাকে তবে তাদের বৃদ্ধি ব্যাহত হবেই।

চলুন জেনে নেওয়া যাক আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা :

অনেক বাবা মা মনে করেন, বেশি দুধ ও মাংস খেলে স্বাস্থ্য ভালো হয় ।কিন্তু এমনটা সত্য নয়।বয়স অনুপাতে বাচ্চাকে মিশ্র খাবার অর্থাৎ মাংস ও দুধের পাশাপাশি ডিম, ভাত,সবজি,ফলমূল খাওয়ানো অত্যাবশ্যক।

বাচ্চাদের সহজে খাওয়ানোর কিছু উপায়:

১. তাদের খুশি করুন: তাদের খুশি করার জন্য কখনো কখনো তাদের পছন্দ অনুযায়ী পুষ্টিকর খাবারও দিতে হবে।তাকে খাবার বেছে নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে।এতে তাদের খাবারের প্রতি চাহিদা বাড়বে।

২.নিজেরাও পুষ্টিকর খাদ্য খান:

মনে রাখতে হবে যে বাবা মা কে দেখেই সন্তান সব শেখে।অর্থা ৎতাদের পছন্দ অপছন্দ সর্বদা সন্তানকে প্রভাবিত করবে।সুতরাং তাদের সামনে নিজেদের পছন্দ অপছন্দের কথা না বলাই ভালো। 

এতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষত মায়েদের এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে বেশি।সন্তানের সাথে সাথে তাকেও খেতে হবে পুষ্টিকর খাবার।এতে বাচ্চা উৎসাহিত হবে।

৩. জোর করবে না:  মাথায় রাখতে হবে কোন অবস্থাতেই শিশুকে জোর করে খুব বেশি পরিমাণে খাবার খাওয়ানো যাবে না। বাড়ন্ত শিশু কোনো একটি খাবার খেতে পছন্দ না করলে সেটির পরিবর্তে অন্য একটি পুষ্টিকর খাবার খেতে দিন। 

৪. খাওয়ার তালিকায় রকমফের আনুন:

 সপ্তাহে একই খাবার প্রতিদিন খাওয়াবেন না। এতে বাচ্চাদের খাবারের প্রতি অনীহা জন্মাতে পারে।সপ্তাহে সাতদিন শিশুর খাবারে বিভিন্ন পরিবর্তন আনুন এতে সে খেতে উৎসাহিত হবে।

 ৫.অন্যমনস্ক রাখুন:

এছাড়াও শিশু যাতে খাবার সঠিক পরিমাণে গ্রহণ করে তার জন্য খাবার সময় গল্প,কবিতাপাঠ করুন। প্রয়োজনে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথাও বলতে পারেন।

৬.তার প্রশংসা করুন: স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার জন্য তাকে কখনো কখনো পুরস্কার দিন ও তার প্রশংসাও করুন।দেখবেন বাচ্চা নিজেই উৎসাহিত হয়ে খেতে চাইছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *