প্লেনে মল, মুত্র ত্যাগ করলে কোথায় গিয়ে জমা হয়?
নিউজ ডেস্ক – ট্রেন হোক কিংবা বাসযাত্রা, এই দুটি পরিবহন স্থলের সঙ্গে যুক্ত থাকায় কোনো যাত্রী বাথরুম করতে গেলে কোন রকম অসুবিধা দেখা দেয় না। কিন্তু এবার প্রশ্ন হচ্ছে যে সকল পরিবহন স্তরের সঙ্গে যোগাযোগ নেই সেখানে যাত্রীরা কোথায় যায় বাথরুমের জন্য। তবে ধরেই নেওয়া যাক এদের মধ্যে একটি দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ হল এরোপ্লেন অর্থাৎ উড়োজাহাজ। সকল যাত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট বাথরুম করা রয়েছে। কিন্তু এই সকল বাথরুমে মনুষ্যসৃষ্ট বর্জ্য কোথায় যায় সেই সম্পর্কে অবগত নয় বহু মানুষ। তাই এবার সেই সম্পর্কে জানতে গেলে আগে প্লেন সম্পর্কে কিছু সাধারণ ধারণা জানতে হবে।
যে সকল মানুষ প্লেনে উঠেছেন কিংবা যারা ওঠেনিনি সকলের সাধারণ ধারণা রয়েছে যে ঠিক কি রকম আকৃতির হয় একটি প্লেন। প্লেনের মধ্যে একাধিক কামরা রয়েছে যেখানে জাতিরা বিরাজমান করে। আবার যাত্রীদের জন্য একাধিক সুযোগ সুবিধা যেমন খাবারের ও টয়লেটের ব্যবস্থাও করা রয়েছে। তবে প্লেনে বর্জ্য পদার্থ ত্যাগ করলে এই সব নোংরা ঠিক কোথায় যায় সে সম্পর্কে অবগত নয় বহু যাত্রী। তবে প্লেনের মধ্যে একটু ভেতর দিকে ঝুঁকলে দেখা যাবে বাথরুমে কোমটের সঙ্গে একটি অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে ভ্যাকুয়াম পদ্ধতি সংযুক্ত করা রয়েছে। এছাড়াও প্লেনে টয়লেটের অনেকটা ফ্রাইং প্যানের মতো। যার কারণে কোন ব্যক্তি টয়লেট ব্যবহার করার পর ফ্ল্যাশ প্রেস করলে আপনা আপনি ভ্যাকুয়াম প্রক্রিয়াটি শুরু হয়ে যায়। উপরের সকল ভ্যাকুয়ামের মাধ্যমে চুষে নিয়ে সেটি প্লেনের একদম শেষ প্রান্তে অর্থাৎ একটি নির্ধারিত জায়গায় সংরক্ষিত হয়। পরবর্তীতে প্লেন ভূমিতে পদার্পণ করলে সেখানে হানি ট্রাক নামক একটি জানে সে সকল বর্জ্য পদার্থ নিয়ে যায় রিসাইক্লিং করার জন্য। অর্থাৎ এই তথ্যের মাধ্যমে বিষয়টি পরিষ্কার হল যে ঠিক কোন পদ্ধতিতে প্লেনের যাত্রীরা বাথরুম ব্যবহার করে।