হিটলার থেকে অ্যালেকজান্ডার। পৃথিবীর সবথেকে শক্তিশালী শাসক কাকে বলা হয়ে থাকে?
নিউজ ডেস্ক – ইতিহাসের পাতা উল্টালে এমন অনেকের পরিচয় সামনে আসবে যাদের অবদান অনস্বীকার্য। অর্থাৎ একের পর এক বীর যোদ্ধাদের তালিকা তৈরি হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে যারা কম শক্তিশালী তাদের সঙ্গে বেশি শক্তিশালীদের তুলনা করা খুব সহজ হয়। কিন্তু একজন প্রথম সারির যোদ্ধার সঙ্গে অন্যজন বীর যোদ্ধার তুলনা করা একটু মুশকিল হয়ে ওঠে। অর্থাৎ এই প্রতিবেদনে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট, খলিফা উমর, তেমুজিন( চেঙ্গিস খান), হিটলার ও সিসার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী নেতাকে ছিল সেটা বলা একটু মুশকিল হবে। মুখে বলার থেকে বরং একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক তারা কিভাবে বীরত্বের পরিচয় রেখেছিলেন।
I) আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটঃ বাবা ফিলিপের মৃত্যুর পর মেসিডনের সিংহাসনে বসেছিলেন আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেট। সিংহাসনে বসার পর প্রায় ১২ বছর রাজত্ব করেছিলেন আলেকজান্ডার। তবে খুব অল্প বয়সের মাত্র ৩২ বছরে তিনি পরলোক গমন করেছিলেন। কিন্তু এই ১২ বছরের রাজত্বকালে ইউরোপ,এশিয়া ও আফ্রিকারয় দাপিয়ে বেরিয়েছিলেন আলেকজান্ডার। তবে একটা কথা না বললেই নয় ক্ষমতায় আসার মাত্র তিন বছরের মধ্যেই পারস্য,সিরিয়া,মিশর,ব্যাবিলন নিজের আয়ত্তে করে নিয়েছিলেন তিনি। তবে ভারতের আসতেই তার গতিপথ রোধ করে খরস্রোতা গঙ্গা। পূর্ব ভারত থেকে পশ্চিমে মিশরের আধিপত্য গ্রহণকারী অ্যালেকজান্ডার ব্যাবিলনের যুদ্ধে মারা গিয়েছিলেন।
II) খলিফা উমর : পশ্চিমে লিবিয়া থেকে পূর্ব ভারত যেটা বর্তমান পাকিস্তান নামে পরিচিত, উত্তরে কাস্পিয়ান সাগর পর্যন্ত আধিপত্য ছিল খলিফা উমর। তবে শুধুমাত্র তিনি নন তার পাশাপাশি আরেকটি নাম বেশি উল্লেখযোগ্য। আর সেটি হল খালিদ বিন ওয়ালিদ। তিনিও জীবনের সবগুলো যুদ্ধে অপরাজিত থাকার রেকর্ড ছিল এই মুসলিম সেনাপতির, এমনকি উহুদ যুদ্ধে মুসলিম বাহিনী পরাজিত হয় এই বীরের বুদ্ধিমত্তায়। তবে এখানে একটি কথা উল্লেখ করতেই হয় যে উমর যতটা না যুদ্ধ করে বিজয়ী তার চাইতে বেশি তাঁর প্রজ্ঞা, ন্যায়পরায়ণতা,মিতব্যয়ীতার জন্য তিনি বিখ্যাত।
III) তেমুজিন তথা চেঙ্গিস খান: ১২০৬ সালে দিগ্বিজয়ের নেশায় নামেন চেঙ্গিস। মাত্র ২১ বছরে গড়ে তোলেন বিস্তৃত সাম্রাজ্য। একে একে ধ্বংস করেন পারস্য, খাওয়ারিজম, কোরিয়া, মার্ভ, চীনের জিন রাজবংশ। পূর্বে কোরিয়া থেকে পশ্চিমে কাস্পিয়ান সাগর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল তার সাম্রাজ্য। মাত্র ২১ বছর বয়সেই বিশ্ব বিখ্যাত হয়ে উঠেছিলেন চেঙ্গিস খান। তবে চেঙ্গিসের ভালো দিকের পাশাপাশি ছিল বেশ কিছু খারাপ দিক। মূলত তার পৈশাচিক স্বভাবের কারণেই তিনি বেশি চর্চিত ছিলেন। তার রাজত্বকালে অন্তত ৫ কোটি মানুষের গলা কেটেছিল মঙ্গলবাহিনী।