শিবলিঙ্গে দুধ ঢালার পেছনে কি কারন রয়েছে?
নিউজ ডেস্ক: বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ তাই মানুষের মধ্যে কোন প্রচলিত রীতিকে মানার আগে তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা জানার উপর বেশি ঝোঁক দেখা যায়। এছাড়াও দেখা যায় যে আগেকার দিনে যেসব প্রচলিত ধারণাগুলি মুনি-ঋষিরা প্রচলন করে গেছে সেগুলিকে আধ্যাত্বিক কারন হিসাবে বলা হলেও এর পেছনে কিন্তু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। যেমন- শিবলিঙ্গে দুধ ঢালা। আধ্যাত্মিক কারনে বলা হয় যে শিবলিঙ্গ চারপাশের থাকা নেগেটিভ এনার্জি শোষণ করে, চারপাশকে বিশোধন করে।তাই এই প্রক্রিয়ায় শিবলিঙ্গ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ও তেজশক্তির বিকরন করে।তাই দুধ ও ডাবের জল ঢালার ফলে উষ্ণতা প্রশমন করা হয়। এই ধারণাটি মুনি ঋষিদের।কিন্তু বিজ্ঞান শিব লিঙ্গ দুধ ঢালার পক্ষে সম্মত হলেও ব্যাখ্যাটা আলাদা দেয়। তাই বিজ্ঞান শিবলিঙ্গে দুধ ঢালার পিছনে কি ব্যাখ্যা দিচ্ছে সেটা জানা দরকার।
প্রাচীনকালের মানুষেরও বিশ্বাস করতেন যে বর্ষাকালে দুধের মধ্যে বিষক্রিয়া থাকে। সেই কারনে তারা বর্ষাকালে গরুর দুধ পান করতেন না।এমনকি তারা বিশ্বাস করতেন যে বর্ষাকালে দুগ্ধজাত সামগ্রী গ্রহণ করলে বাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং রোগের কবলে পড়ার ঝুঁকি থাকে।এছাড়াও বর্ষাকালে গৃহপালিত পশু ঘাসের সাথে নানারকম জীবাণুও খেয়ে ফেলে।আর তাই দুধের মধ্যে এই ব্যাকটেরিয়া জীবাণুগুলো সংক্রমিত হয়। যার ফলে গরুর দুধ দূষিত হয়ে যায়।আর এই দূষণের হাত থেকেই রক্ষা পেতে শিবলিঙ্গে দুধ অর্পণ করে ভক্তি কামনা করা হয়। আর এই থেকেই শুরু হয় শিবলিঙ্গে দুধ ঢালার রীতি।