অফবিট

মরক্কোতে ছাগলদেরকে কেন গাছে চড়ানো হয়?

নিউজ ডেস্কগল্প কথায় বা রূপকথায় এমন বহু শোনা গিয়েছে যে গল্পের গরু গাছে ওঠে। তবে বর্তমানে তা কোনদিনই বাস্তবায়িত হয় না। কিন্তু সম্প্রতি এমন এক দেশের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে যেখানে গল্পের গরু নয় বরং ছাগল উঠে পরছে আস্ত একটি গাছে। হ্যাঁ শুনে সবাই অবাক হবেন যে ছাগল গাছে উঠতে পারে নাকি। তৃণভোজী প্রাণী অবলা জীব হিসেবে পরিচিত। তবে এই দেশে ছাগলেরা তৃণভোজী প্রাণী হলেও নিজেদের খাদ্যের টানে গাছে উঠে পরছে। এমন আজব ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ-পশ্চিম মরক্কো অঞ্চলে।

জানা গিয়েছে মরক্কোতে প্রধান অর্থনৈতিক উপার্জিত ব্যবসা হল আর্গন তেল। হ্যাঁ এই আর্গণ তিনি মূলত বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী তৈরিতে কাজে লাগে। যার কারণে এখানে গোটা অঞ্চলের চোখ কি দেখা যাবে বহু জায়গায় আর্গনের গাছ রয়েছে। আইকনের গাছগুলি অনেকটা গোলাপ গাছের মতো কাঁটাযুক্ত হয়। এই গাছে ফুল ধরে হলুদ রঙের। কার্যত এই ফুল ও ফল খেতেই গাছে ধরে সেখানকার ছাগলেরা। আর সেই স্থানীয় মানুষেরা উৎসাহ যোগায় সেইসব ছাগলদের গাছে উঠতে। তবে এর পেছনে রয়েছে একটি মজাদার গল্প।

দেখা গিয়েছে আর্গন গাছের ফল অতো বড় শক্ত প্রকৃতির হয়। সেই ফল ভাঙতে বড্ড বেগ পেতে হয় চাষীদের। তবে ছাগল গাছে উঠে তারা আর্গন ফলের পাল্প খাওয়ার জন্য খোসাটা ছাড়িয়ে নিয়ে গোটা ফলটা গিলে ফেলে। এরপর মলত্যাগের সময় বীজটি যখন বের হবে তখন বীজটি অনেক নরম হয়ে যায়, যা থেকে তেল নিষ্কাশনে অনেক সুবিধা হয়। এইভাবেই বাস্তবে গাছে তোলা হয় ছাগলদের। 

তবে যে কারণেই হোক ছাগল গাছে ওঠার দৃশ্য খুবই দুর্লভ বর্তমান পৃথিবীতে। এই দৃশ্য দেখতে বহু দুর দুর থেকে পর্যটকদের ভিড় জমায় মরক্কোতে। তবে বিনা পয়সায় ফটো তোলার যায় না এই স্থানগুলিতে। রীতিমতো ছাগলের মালিকদের হাতে আর্থিক কিছু উক্তি তবেই তোলা যাবে ছাগলগুলি ফটো। সুতরাং প্রসাধনীতে ব্যবহৃত আগুন তেলের ব্যবসা করার পাশাপাশি ছাগলদের দিয়েও ব্যবসা করেন এখানকার স্থানীয়রা। তবে অল্প আধটু অর্থ খরচ হলেও ব্যাপারটা ভীষনই আনন্দদায়ক। কাজে সফল ব্যক্তিরা ভ্রমণপিয়াসী ফটোগ্রাফারের পোকা তারা অবশ্যই মরক্কোতে  গিয়ে একবার অবশ্যই ঘুরে আসতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *