যে ওল খেলে চুলকোয় না সেই ভাল জাতের ওল পুরানো পেটের অসুখ সারিয়ে দেয়। ওলের অসাধারন কিছু কার্যকারিতা
নিউজ ডেস্কঃ ওল আমাদের পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি এটি একটি সহজলভ্য সবজি। এই সবজিটি আমরা রান্না করে খাই। তবে আপনারা কি জানেন যে ওল আমাদের শরীরের কি কি কাজে লাগে বা কতটা আমাদের শরীরে পক্ষে উপকারি? তাহলে জেনে নিন ওলের উপকারিতা সম্পর্কে।
১) ওলের ডগার আঠা লাগালে বোলতা বা ভিমরুলের কামড়ের জ্বালা দূর হয়।
২) নিয়মিত ওলের ডালনা বা ওলভাতে বা শুধুই ওল সেদ্ধ খেলে অর্শ অবশ্যই সারবে।
৩) ওল খাওয়ায় রুচি উৎপন্ন করে।
৪) মিষ্টি ওল তীক্ষ্ম, উষ্ণ,রুক্ষ ছেদক ও কষযুক্ত। অর্থাৎ ওর স্বাদ তীব্র,শরীর গরম করে এবং ফোড়া ফাটিয়ে দেয়,অর্থাৎ ছেদ সৃষ্টি করে।
৫) যে ওল খেলে গলা চুলকায় সেই কুটকুটে বুনো ওলেরও ওষুধ হিসাবে অনেক গুন আছে।আয়ুর্বেদের মতে বুনো ওল শ্লীপদ(পায়ের গোদ-হাতির মতো ফোলা পা), গোদ, আব, খিদে না পাওয়া, শূন্যব্যাথা, দাঁতের ব্যাথার শোথ রোগের মহৌষধ।
৬) তেঁতুল পাতা দিয়ে একটু সেদ্ধ করে জল ফেলে টক দিয়ে রান্না করলে বুনো ওলও খেলে ভালো লাগে।
৭) যে ওল খেলে চুলকোয় না সেই ভাল জাতের ওল পুরানো পেটের অসুখ সারিয়ে দেয়। কিন্তু চুলকানি হলে ওল না খাওয়াই ভাল।
৮) ওলের আছে বায়ু ও কফ নাশ করবার গুন। হজমও হয় সহজেই।রক্তপিত্তের প্রকোপ বাড়িয়ে দেয়।
৯) ওলের ডাঁটা ও ওলের কচি শাক দিয়ে তৈরি তরকারি বা ঘণ্ট শরীরের পক্ষে উপকারি।
১০) বুনো ওল মল রোধ করে, কষায়, হালকা, তীক্ষ্ম, রুচিকর। কাশি, বমি, বায়ু গোলক বা গুল্মরোগ ও শূল ব্যাথা সারায়, কৃমি নাশ করে।
১১) ওল শুকিয়ে গুড়ো করে ঘিয়ে ভেজে চিনি মিশিয়ে খেলে আমাশা সারে।
১২) ওল টুকরো করে কেটে ঘিয়ে ভেজে খেলে অর্শ সেরে যায়।