ডায়াবেটিসের রোগীরা নিঃসংকোচে কচুর লতি খান
নিউজ ডেস্কঃ কচু। সত্যি কথা বলতে কি বাঙ্গালির হেসেলে এমন কিছু খাওয়ার আছে যা সত্যি ভাবনার বাইরে। ঠিক তেমনি একটি হল কচু। কচুর পাতা থেকে শিকড় কোন কিছুই বাদ যায়না খাওয়ার ক্ষেত্রে। কচুর লতি। এমন এক খাওয়ার যার নাম শুন্তেই জিভে জল চলে আসে। তবে সুধু সুস্বাদু নয় এর উপকারিতাও অনেক।
আয়রনঃ কচুর লতিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আয়রন। যা প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।গর্ভস্থ অবস্থা, খেলোয়াড়, বাড়ন্ত শিশু, কেমোথেরাপি পাচ্ছে এমন রোগীদের জন্য কচুর লতি ভীষণ উপকারি। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম।যা হাড় শক্ত করে ও চুলের ভঙ্গুরতা রোধ করে।
ফাইবারঃ এই সবজিতে ডায়াটারি ফাইবার বা আশের পরিমান খুব বেশি। যা খাবার হজমে সাহায্য করে।দীর্ঘ বছরের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
ভিটামিনঃ কচুর লতিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি আছে যা সংক্রামক রোগের থেকে আমাদের দূরে রাখে।শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে করে দ্বিগুণ শক্তিশালী।ভিটামিন সি চর্মরোগের বিরুদ্ধে কাজ করে।
ডায়াবেটিসঃ অনেকেই কচুর লতি খান চিংড়ি মাছ দিয়ে।চিংড়ি মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমানে কোলেস্টেরল। তাই যারা হৃদরোগী,ডায়াবেটিস ও উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় আক্রান্ত বা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তারা চিংড়ি মাছ ও শুটকি মাছ বর্জন করুন। কচুর লতি রক্তে চিনির মাত্রা বাড়ায় না।তাই ডায়াবেটিসের রোগীরা নিঃসংকোচে খেতে পারেন কচুর লতি।
কোলেস্টেরল বা চর্বিঃ কিছু পরিমান ভিটামিন বি হাত, পা, মাথার উপরিভাগে গরম হয়ে যাওয়া, হাত পায়ে ঝি ঝি ধরা বা অবশ ভাব এই সমস্যাগুলি দূর করে। মস্তিষ্কে সুষ্ঠভাবে রক্ত চলাচলের জন্য ভিটামিন বি ভীষণ জরুরি।এতে কোলেস্টেরল বা চর্বি নেই।তাই ওজন কমানোর জন্য কচুর লতি খেতে বারন নেই।
আয়োডিনঃ খাবার হজমের পর বর্জ্য দেহ থেকে সঠিকভাবে বের হতে সাহায্য করে।তাই কচুর লতি খেলে অ্যাসিডিটি ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে খুবই কম।আয়োডিন দাঁত, হাড় ও চুল মজবুত করে।