অফবিট

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের গায়ের রং সম্পর্কে জানা আছে!

কথিত রয়েছে ব্রহ্মা-বিষ্ণু মহেশ্বর এই ত্রিদেবী হলেন গোটা ভূলোকের দেবতা। এছাড়াও লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে নারায়ণ শিলা ছাড়া কোন পুজোই সম্পূর্ণ হয় না। সেক্ষেত্রে নারায়ণ হোক কিংবা রাম কিংবা কৃষ্ণ সকলেই এক। দেবো কিনা তার গর্ভে জন্ম গ্রহন করেছিলেন কৃষ্ণ এবং পালিত হয়েছেন যশোদা মায়ের কাছে। তবে গ্রন্থমতে কৃষ্ণের গাত্রবর্ণ কালো, অথচ মূর্তি হোক কিংবা তার কোন প্রতিচ্ছবি সবটাতেই কৃষ্ণকে নীল বর্ণের দেখায়। এর কারণ কি! যারা কৃষ্ণভক্ত তাদের সঙ্গে অনেক মানুষেরই মত পার্থক্য দেখা যায় কৃষ্ণের গাত্র বর্ণ নিয়ে। এমনকি কিছু কিছু সময় কৃষ্ণের বর্ণ নিয়ে বহু মানুষের মধ্যে মতভেদ ও বচসা হতেও দেখা গিয়েছে। তাহলে একটু জেনে নেওয়া যাক আসলেই কৃষ্ণের বর্ণ কেমন! 

বিষ্ণুস্তোত্রে বলা হয়েছে,শান্তাকারং ভুজগশয়নং পদ্মনাভং সুরেশং, বিশ্বাধারং গগনসদৃশং মেঘবর্ণম শুভাঙ্গম্।

যার অনুবাদ হলো সর্বদা শান্ত তাঁর রূপ, যিনি শেষনাগের শয্যায় শয়ন করেন, যার নাভি থেকে পদ্মের উৎপত্তি, যিনি সর্বদেবের অধীশ্বর, তিনি সমগ্ৰ বিশ্বের আধার, আকাশের ন্যায় অনন্ত এবং মেঘের সমান বর্ণ তার।

তবে পুরাণ মতে কৃষ্ণ ও  বিষ্ণুর গায়ের রং একই। বিষ্ণু যেহেতু কালো তাই কৃষ্ণের রং কালো। বিষ্ণু তার সম্পূর্ণ কলারো ধারণ করে এই কৃষ্ণের অবতার নিয়েছিলেন। সেই কারণে কৃষ্ণ শব্দের অর্থই হলো কালো এবং অনন্ত। এক কথায় বলা যায় যে জলের যেমন কোন আকার ও বর্ণ হয় না ঠিক সেরকমই কৃষ্ণেরও কোন বর্ণ নেই। আমরা তাকে যেভাবে দেখতে চাই সেভাবেই পাই। 

অন্যদিকে আবার নীল বর্ণের পেছনেও কিছু যুক্তি রয়েছে। পৃথিবী থেকে যে আকাশ দেখা যায় তা বাস্তবে অনন্ত মহাবিশ্ব, যা কালো হলেও পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের কারণে নীল দেখায়। এই দর্শনটি বোঝানোর জন্যই ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে নীল দেখানো হয়। কারণ মানুষ কখনো তার বাস্তব রূপ দেখতেই পায়না। মায়ার বশীভূত হয়ে তার আন্তরিক গুণাবলী ছেড়ে তার কার্যের নিন্দা করে, কিন্তু তার লীলার রহস্য সে কখনো বুঝতে চায়না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *