লাইফস্টাইল

হাড় ক্ষয় কেন হয়? ৩০ বছর বয়স হলে এখুনি সাবধান হয়ে যাওয়া উচিৎ

হাড় ক্ষয় হলো এমন একটা রোগ, যাতে হাড়ের ক্যালসিয়ামের ঘনত্ব বা পরিমাণ কমে স্বাভাবিক গঠন নষ্ট হয় এবং হাড় ভঙ্গুর হয়। এক পর্যায়ে কোমরের হাড়, মেরুদণ্ড ও হাতের কবজির হাড় ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

হাড় ক্ষয়কে ‘অস্টিওপোরোসিস’ বলে। এর আগের পর্যায় হলো ‘অস্টিওপেনিয়া’। অস্টিওপেনিয়ার সময়ই হাড়কে দুর্বল করে ফেলে এবং হাড় ভাঙার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তেমন কোনো উপসর্গ ছাড়াই নীরবে এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে থাকে। বোন ফ্র্যাকচারের আগে বা হাড় ভেঙে যাওয়ার আগে এই রোগের তেমন একটা লক্ষণ প্রকাশ পায় না।

হাড় ক্ষয়ের পেছনে নানা ধরনের কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো—

  • পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম, ভিটামিনের অভাব।
  • বংশে হাড়ক্ষয়জনিত রোগের ইতিহাস থাকা।
  • কম বয়সে মেনোপজ।
  • হাড়ের ঘনত্ব কম থাকা।
  • রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, হাইপারথাইরয়েডিজম বা ক্রনিক লিভার ডিজিজে আক্রান্ত হওয়া।
  • কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় হাড় ক্ষয় হতে পারে।
  • কায়িক শ্রম না করা হাড় গঠনের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা।

যদিও এই সমস্যার নির্দিষ্ট কোনো লক্ষণ নেই। তবুও কিছু ক্ষেত্রে লক্ষণ দেখা যায়। যেমন-

পিঠের পেছন দিকের অস্থিতে ব্যথা অনুভব হওয়া, হিপ, কোমর ও মেরুদণ্ডে ক্ষয় দেখা দেওয়া, উচ্চতা কিছুটা কমে যাওয়া, হাঁটা বা দাঁড়ানোর সময় ঝুঁকে থাকা, হঠাৎ পড়ে গেলে হাড় ভেঙে যাওয়া ইত্যাদি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *