গুজরাটের ভূতুড়ে পর্যটন কেন্দ্র কোন স্থানে রয়েছে?
নিউজ ডেস্কঃ ভারতবর্ষের মতো বৃহৎ দেশে ভৌতিক জায়গার সংখ্যা নেহাত কম নয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এমন অনেক জায়গা যাদের কেন্দ্র করে সত্যিই বেশ কিছু ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর কাহিনী শুনতে পাওয়া যায়। আর সেইসঙ্গে কৌতুহলী মানুষ ও নেহাত কম নয় এই দেশে ।অলৌকিক গল্প শুনে অশরীরী আত্মার সাক্ষাৎ পেতে অথবা গল্পগুলোকে ভুল প্রমাণিত করার জন্য বেশ কিছু কৌতুহলী মানুষ প্রায়ই ভিড় জমায় এই সমস্ত স্থানে।
তবে ভুতুড়ে জায়গা বলতে সাধারণত বিভিন্ন পুরনো প্রাসাদ,বাড়ি এইসবই বোঝায়। আর ভারতে ধরনের ভুতুড়ে বাড়ি ও প্রাসাদের সংখ্যা কম নয়। তবে এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই গল্পগুজব, ঘটনাগুলোর মধ্যে কতটা কথা সত্যি আর কতটা রটনা লুকিয়ে আছে তা বোঝা সত্যিই মুশকিল ।
কিন্তু যদি বলা হয় যে ভারতেই রয়েছে এমন এক ভয়ংকর জায়গা যেখানে স্বয়ং ভারত সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ? অবাক ড়লেন তাই না? না, এটি কোন প্রাসাদ বা পোড়াবাড়ি নয় বরং ,একটি সমুদ্র সৈকত। গুজরাটের সুরাট থেকে 21 কিলোমিটার দূরে আরব সাগরের তীরে ডুমাস নামক এই বীচ টি অবস্থিত। ভৌতিক হিসাবে এই বীচ কুখ্যাতি লাভ করেছে। এই স্থানটি কে কেন্দ্র করে ভৌতিক গল্পের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। এই সমুদ্রতটের নাকি প্রায়ই ফিসফিস করে কারোর কথা বলার আওয়াজ পাওয়া যায়। বিশেষত রাতের দিকে এই সমুদ্রতটে টেকা হয়ে ওঠে একবারেই অসম্ভব ।প্রায়ই গায়ে কাঁটা দেওয়া নানা অদ্ভুত ও ভয়ঙ্কর আওয়াজ শোনা যায় এখানে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতো কখনো এখানে হঠাৎ করে মহিলার কান্নার আওয়াজ শোনা যায়,পরমুহূর্তেই আবার খিলখিল হাসির শব্দে ভরে ওঠে সমুদ্রতট। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে এই সমুদ্রতটে রাতের বেলা অনেক পর্যটকই সাহস করে ঘুরতে যান কিন্তু পরবর্তীকালে কখনোই আর খোঁজ মেলে না তাদের।