এই যুদ্ধে না হয় রক্তক্ষরণ! সেনাবাহিনীরও মৃত্যু হয়না।এই যুদ্ধ সম্পর্কে জানা আছে?
কোন দেশে কিংবা কোনো জাতিতে যুদ্ধ শুরু হলে বোমা বারুদ কিংবা অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে মানুষ রক্তাক্ত হয় এবং তার মৃত্যুও ঘটে। কিন্তু স্নায়ু যুদ্ধের ক্ষেত্রে কোন পয়সা খরচ করে অস্ত্র কেনার প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র মানুষকে মেন্টালি টর্চার করলেই তিনি একজন যুদ্ধে পরাজয় সিপাহির মতো তার অবস্থা হয়ে যায়। এই যুদ্ধে কোন রক্তক্ষরণ হয় না এবং কোন সেনাবাহিনীরও মৃত্যু ঘটে না।
স্নায়ু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, স্নায়ুযুদ্ধ শব্দটি ১৯৪৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত আমেরিকা এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে কুটনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক বর্ণনা করতে ব্যবহার করা হতো। এই দুটি দেশ কখনো একে অপরের সাথে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করেনি। কিন্তু এই দীর্ঘ সময় তারা নিজ নিজ রাষ্ট্রের আদর্শ স্থাপনের জন্য পরোক্ষভাবে লড়াই করে গেছেন নানা রকম হুমকি, সামরিক শক্তি বৃদ্ধি, গোয়েন্দা তৎপরতা, মহাকাশ গবেষণা, আর বিভিন্ন দেশে নিজেদের আদর্শ স্থাপনার নামে কুটনৈতিক ও সামরিক হস্তক্ষেপ প্রভাবিত করে।
প্রথমবার স্নায় যুদ্ধ করতে দেখা গিয়েছে মার্কিন সোভিয়েতে। এই যুদ্ধের সময় বিশ্ব স্পষ্টত বিরোধিতা পূর্ণ দুটি ব্লকে বিভক্ত ছিল এবং দুটো ব্লকের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক একটি জটিল প্যাটার্ন সামঞ্জস্য লড়াই আর অবিশ্বাস নিয়ে থাকত সবসময়। নিরপেক্ষ ইতিহাস বিশেষজ্ঞরা স্নাযুদ্ধের জন্য মূলত সোভিয়েত ইউনিয়নের ইউরোপের মধ্যে নিজের সামরিক, আদর্শিক আর অর্থনৈতিক অবস্থান বিস্তার আর সরাসরি অন্য দেশে সোভিযেত সামরিক অবস্থানকে দায়ী করে থাকে। ৯০-এর দশকের পর আর কোথাও স্নায়ু যুদ্ধের মতো যুদ্ধ দেখা যায়নি। তবে সেই ৯০ এর দশকে একমাত্র স্নায়ুদ্ধের জন্য ইস্টার্ন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কমুনিসমের পতন, বার্লিন ওয়াল ধংস, আর সবশেষে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে পরেছিল।