রক্ত মাংস মাটিতে মিশলেও কঙ্কাল যুগল একে অপরকে ছাড়েনি। পৃথিবীর কোন দেশে এমন ঘটেছিল?
নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৬০০০ বছর আগের এমন এক প্রেমের গল্প নিয়েই সাজানো হয়েছে আমাদের আজকের প্রতিবেদন। যা আপনার হৃদয়স্পর্শ করবে। একজন ব্যবসায়ী তার বাড়ির পাশে ফেলে রাখা জায়গায় খননকার্য চালানোর ফলে মাটির তলা থেকে পাওয়া যায় দুটি কঙ্কাল। যেটি ছিল মাটির সাথে মিশে যাওয়া অন্যান্য কঙ্কালের মতো নয় তা দেখে সবাই অবাক হয়ে যায়। আর সবচেয়ে আশ্চর্যকর বিষয়টি আবিস্কার করে যে কঙ্কাল দুটো একে অপরের মুখোমুখি আলিঙ্গন করে আছে। একে আরেকজনকে আঁকড়ে ধরা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি করেছে। কালের নিয়মের সম্পূর্ন বিপরীত কার্য দেখে সবাই অবাক । তাও আবার জরাজীর্ণ। লাভার্স অফ ভালদারো এই নামে তাদের চিনতে পারা যায় এই কঙ্কাল যুগলকে গবেষকরা জানিয়েছেন ।এভাবে হয়তো তাদের দুজনকে কবর দেওয়া হয়েছিল। কিংবা তারা এভাবে মাটির তলায় চাপা পড়ে গিয়েছিল।
সমস্ত কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর প্রত্নতাত্ত্বিকেরা জানিয়েছেন ওই কঙ্কাল 25 হাজার থেকে 40 হাজার খ্রীষ্টপূর্বাব্দের। গবেষকদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে মৃত্যুর পরেও এদেরকে আলাদা করতে পারেনি কেউ। ওই সময় যুবক যুবতীর বয়স 18 থেকে 20 বছরের মধ্যে উচ্চতা ছিল 5 ফুট 2 ইঞ্চি কাছাকাছি। হয়তো হতে পারে তীব্র শীতের রাত্রে আলিঙ্গনরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ।তারপরে কঙ্কাল দুটি একে অপরকে আঁকড়ে ধরে রাখা নিয়ে রহস্যের জন্ম দিয়েছে। মৃত্যুর পরেই তাদের এই অবস্থায় রাখা হয়েছিল বলে গবেষকরা অনুমান করেছিলো। বর্তমানে তাদের নতুন ঠিকানায় ইতালির ন্যাশনাল আর্কিওলজিক্যাল মিউজিয়ামে।
৬০০০ বছরের ভালোবাসা অমর হয়ে থাকলো।আরো একবার সে কথায় প্রমাণ করলো এই রহস্যময়ী প্রেম। লোকে বলে সত্যিকারের ভালোবাসার কোনদিনও মৃত্যু হয় না। প্রেমের উপাখ্যান অনুমান করেন যে এই তরুণ-তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে তবে তাদের হত্যা করার কোনো লক্ষণ গবেষকরা পাননি। গবেষণার সময় ওই সময়ের একটি ছুরি পাওয়া যায়। বর্তমান সত্যিকারে প্রেম ভালোবাসা খুঁজে পাওয়া দায়। তাই বলে যে থেমে আছে প্রেম কিন্তু তা নয় ।প্রেমের সাক্ষী রয়েছে অনেক। এর মধ্যে কিছু সফলতার গল্প আর কিছু ব্যর্থতার কাহানিও আমরা আমাদের চারিপাশে দেখতে পাই।
২০০৭ সালের প্রত্নতাত্ত্বিকেরা উত্তর ইতালির মান্তুয়া গ্রামে সাক্ষী হয় এই প্রেমের।‘লাভার্স অফ ভালদারো’- প্রাণহীন এক যুগল। যাদের রক্ত মাংস মিশে গেছে মাটির সঙ্গে। তবু হাড়ে প্রতিফলিত হচ্ছে অপার প্রেম।