ঘরে বসেও প্রশিক্ষক ছাড়াই ধ্যান করতে এই নিয়ম গুলি মেনে চলুন
নিজস্ব সংবাদদাতা: শরীর ও মন উভয় এর সুস্থতার জন্যেই নিয়মিত ধ্যান করা জরুরী।চলমান এই ব্যস্ততার জীবনে নিজের শরীর ও মন সুস্থ রাখা রীতিমত একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যস্ততার সাথে সাথেই বেড়েছে চিন্তা এবং মানসিক অশান্তি,অস্থিরতা।ব্যস্ত জীবনে মন শান্ত না থাকলে সহজে স্বস্তি মেলে না।এই অশান্ত মন কে শান্ত করার এক মাত্র উপায় হল মেডিটেশন বা ধ্যান।মেডিটেশন আমাদের প্রতিটি স্নায়ুকে শান্ত করে তোলে।স্বল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের মাথায় পাকানো হাজার রকমের চিন্তাভাবনার জট ছাড়িয়ে দিয়ে মন কে শান্তি ও স্থিরতা প্রদান করে।বিভিন্ন মেডিটেশন সেন্টারে প্রশিক্ষক দ্বারা মেডিটেশন করানো হয়। তবে ঘরে বসেও কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রশিক্ষক ছাড়াই ধ্যান করা।তবে থাকতে হবে নিজের চেষ্টা।
চলুন দেখে নেওয়া যাক পদ্ধতি গুলি:
ঠিক কি কি চাওয়ার আছে: ধ্যান এর দ্বারা কেবল মানসিক শান্তিই নয় এর দ্বারা মেলে না সমস্যার সমাধান ও।তাই ধ্যানে বসবার আগে ঠিক করে নেওয়াটা জরুরী যে আপনি কী কী চান। মন শান্ত থাকার ফলে আপনি সহজেই কাঙ্খিত বিষয়টি নিয়ে ভাবতে পারবেন এবং তার সমাধানের পথ ও বাছতে পারবেন।
পদ্ধতি বাছুন: মেডিটেশন বিভিন্ন ধরনের হয়।আপনি বেছে নিন আপনার পছন্দের পদ্ধতিটি।যেমন অনেকে বাবু হয়ে বসে মেডিটেশন করতে পছন্দ করেন, আবার অনেকে পায়চারি করতে করতে মেডিটেশন করে থাকেন, তবে সেটি নেহাতই ব্যস্ততার কারণে।আপনি বেছে নিন আপনার স্বাচ্ছন্দ্যেরটা।
সময় ঠিক করে নিন: মেডিটেশন কিন্তু আপনাকে নিয়মিতভাবে করতে হবে।নচেৎ কোনো উপকার-ই আপনি পাবেন না।সুতরাং ব্যস্ততার ফাঁকেও একটা নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে নিন।এর পাশাপাশি সেই সময়টায় চারপাশ যেনো ফাঁকা থাকে সেটা খেয়াল রাখুন।
ভাবার চেষ্টা করুন : মেডিটেশনে করার সময় একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে মন দিয়ে ভাবার চেষ্টা করুন। এটি মেডিটেশনের আগের ধাপ। অন্য কোনও বিষয়ে মনকে ডাইভার্ট না করে মনকে যেকোনও একটি চিন্তায় ডুবিয়ে দিন। যেমন আপনি ভাবতে পারেন কোনও সুন্দর সিনারিওর কথা। মেডিটেশন শুরুর আগে শুধু সেটা নিয়েই ভাবুন। ভাবা ছাড়াও আপনি কোনও হালকা সুরের গান শুনতে পারেন যা আপনার মনকে ধীরে ধীরে শান্ত করে।
জোরে শ্বাস নিন ও ছাড়ুন: মেডিটেশনে এর পদ্ধতি গুলির মধ্যে এটি একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।মেডিটেশনের সময় আপনি আপনার দুই নাক দিয়ে যতটা সম্ভব বেশি শ্বাস গ্রহণ করুন এবং তারপর মুখ দিয়ে অল্প অল্প করে সেই শ্বাস ছাড়ুন।সারাদিনের কাজকর্মের ফলে আমাদের শরীরে অনেকটা অক্সিজেনের ঘাটতি তৈরি হয়।সেই অক্সিজেনের ঘাটতি থেকে শরীরে দুর্বলতা তৈরি হয়।এভাবে শ্বাস গ্ৰহণ ও বর্জনের ফলে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি পায়।
সুন্দর জায়গা বাছুন : মেডিটেশন করার জন্য একটা ভালো জায়গা বাছুন। এমন কোনো নিরিবিলি জায়গা বাছুন যা আপনার প্রিয়,যেখানে আপনি একা সময় কাটাতে পছন্দ করেন। আশেপাশে শব্দ হলে চলবেনা এই বিষয় টিও মাথায় রাখতে হবে। আপনার বেছে নেওয়া জায়গায় অনবরত আওয়াজ হলে মনঃসংযোগে বিঘ্ন ঘটবে।
বাধা পেলে যা করবেন : মেডিটেশনে বাধা পেলে ঠিক কী করা উচিত সেটিও জেনে রাখা দরকার।মেডিটেশন একটি একা থাকার প্রক্রিয়া।এর দ্বারা আপনি আপনার দেহ ও মনকে সম্পূর্ণরূপে শান্ত করার প্রক্রিয়া তে থাকেন। সুতরাং মেডিটেশনের মাঝে কোনওরকম বাধা এলে চেষ্টা করুন ঠান্ডা মাথায় যতটা রিয়্যাক্ট করতে। কোনোভাবেই বিরক্ত হলে চলবেনা।এতে আপনার মনে যেটুকু শান্তভাব এসেছিল তা এক মূহুর্তে নষ্ট হয়ে যাবে।সময় বাড়ান : মেডিটেশনের সময় রোজ একটু একটু করে বৃদ্ধি করুন।