হটাৎ হটাৎ অদৃশ্য হয়ে যায় গুজরাটের শিব মন্দির
নিউজ ডেস্কঃ ঈশ্বরের দর্শনের জন্যে মানুষ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসে বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে।এই ধর্মীয় স্থানেগুলি মধ্যে এমন কিছু ধর্মীয় স্থান রয়েছে যেগুলি হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যায়।আর এইসব মন্দিরের কথা হয়ত অনেকের কাছেই অজানা।তাই আজকে জানুন গুজরাটের স্তম্ভেশ্বর মন্দিরের কথা। সেটি হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যায় আবার হঠাৎ দেখা দেয়।
গুজরাটের কাভি কাম্বোইয়ের অবস্থিত স্তম্ভেশ্বর মন্দির। যেটি একটি শিব মন্দির। এই মন্দিরটির বয়স প্রায় ১৫০ বছর। মহাদেবের এই মন্দিরটি আরব সাগর আর ক্যাম্বি উপসাগরের মাঝামাঝি এর অবস্থান। এই মন্দিরের সেরকম কোনও বিশেষত্ব না থাকলেও এমন একটি বিশেষত্ব দেখা যায় যা পর্যটকদের আকর্ষিত করে ওই মন্দিরে আসতে।আর তাই দুরদুরান্ত থেকে পর্যটকদের আসে এই মন্দিরে এই অলৌকিক জিনিস দেখতে।এই অলৌকিক জিনিস দেখা যায় সমুদ্রের জোয়ারের সময়। কারণ এই মন্দিরটি সমুদ্রের জোয়ারের সময় সম্পূর্ণ সমুদ্রের জলের তলায় চলে যায়। আবার জোয়ার চলে যাওয়ার পর যখন জলস্তর নামতে শুরু করে, তখন একটু একটু করে জল থেকে মন্দিরটি জেগে ওঠে।
এই অপূর্ব দৃশ্য দেখার জন্য ভক্তরা সকাল সকাল চলে যান মন্দিরে, পূজার্চনা সেরে নেন। তারপর শুরু হয় তাঁদের অপেক্ষা। জোয়ারের সময় এগিয়ে আসলেই ফাঁকা হয়ে আসতে থাকে মন্দির চত্বর। ভক্ত ও দর্শনার্থীরা নিরাপদ দূরত্বে সরে যান। তারপর শুরু হয় জোয়ার ভাটার এক আশ্চর্য প্রাকৃতিক লীলা। যখন জোয়ার হয় তখন জোয়ারের জল গ্রাস করে ফেলে পুরো মন্দিরটাকেই। তখন সেদিকে তাকালে মন্দিরের অস্তিত্ব পর্যন্ত চোখে পড়ে না। তারপর কিছুক্ষণ কাটে গেলে যখন জোয়ারের জল সরে যেতে থাকে তখন আস্তে আস্তে জলের উপরে প্রথমে দৃশ্যমান হয় মন্দিরের চূড়া। এবং পড়ে জোয়ারের জল আরও কমে গিয়ে গোটা মন্দিরটাই জেগে ওঠে জল থেকে।
এই ঘটনাটিকে ভক্তেরা ঐশ্বরিক লীলা হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। তাঁদের ধারণা, যে স্বয়ং ব্রহ্মা এইভাবেই প্রকৃতির মাধ্যমে মহাদেবের জল-অভিষেক ঘটিয়ে থাকেন। কিন্তু বিজ্ঞানীদের মতে, জোয়ার ভাটা একটি সাধারণ প্রাকৃতিক নিয়ম মাত্র। তবে ঘটনার এই ঘটনার পিছনে ভগবানের লীলা থাকুক বা বিজ্ঞানীদের প্রাকৃতিক কারন থাকুক।যা-ই থাকুক না কেন এই ঘটনের মধ্যে একটি বিস্ময়কর ঘটনা বিজ্ঞানীরাও মানছেন যে এই মন্দিরটি প্রতিদিন এভাবে সমুদ্রজলে নিমজ্জিত হওয়ার পরেও মন্দির ও তাঁর অভ্যন্তরস্থ শিবলিঙ্গটি সম্পূর্ণ অক্ষত রয়ে গিয়েছে।