অফবিট

যৌনকর্মীরা যৌনতাকে উপভোগ করে! কি উঠে আসছে গবেষণায়?

নিউজ ডেস্ক: যৌনকর্মীরা সাধারনত পেশার খাতিরেই গ্রহণ করে নেন যৌনতা। এমনটাই ছিল সামাজিক চিন্তা-ভাবনা। যৌনতাকে অনুভব করতে পারতেন না বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। এক গবেষণায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। যেখানে বলা হয়েছে, সমাজকে শুধুমাত্র তৃপ্তি দেওয়ার জন্য নয় নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনেও যৌনতা উপভোগ করেন যৌনকর্মীরা। সাধারণ মানুষ যেভাবে যৌনতাকে যেভাবে উপভোগ করেন, যৌনকর্মীরা সেভাবে করেন না। এই ধারণাকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার একদল গবেষক। 

অস্ট্রেলিয়ার গবেষকদল যৌনকর্মীদের মানসিকতার উপর পরীক্ষা করে ভিন্ন তথ্য তুলে ধরেছে। সমীক্ষার ফলাফলে গবেষকরা বলেছেন এটি এমন একটি পেশা, যেখানে মানুষের সঙ্গে অন্তরঙ্গ হয়ে উঠতে হয়। মানসিকভাবে যতটা উপভোগ করা যায় ততই সহজ হয় শারিরীক মেলামেশা। এমনই এক যৌনকর্মী কেট। গবেষণায় অংশ নিয়ে সরাসরি জানিয়েছেন, এই পেশায় আসার আগে অভিজ্ঞতা না থাকার ফলে যৌনতা উপভোগ্য হয়নি, এখন পেশায় আসার যৌনতা যতটা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন তেমনই নতুনত্ব হয়ে উঠেছে। 

কেট আরোও জানান যে, “এই পেশায় আসার পর তিনি যৌন জীবনকে নতুনভাবে আবিষ্কার করতে পেরেছেন। যেখানে কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে থাকার ভয় থাকে না। সম্পর্কে জড়িয়ে থাকলে আশা বাড়ে, যা জীবনে জটিলতা বাড়িয়ে তোলে।”

যৌনকর্মী মেলিনাও নিজেকে আবিস্কার করেছেন এই পেশা বেছে নেওয়ার ফলে। তিনি এও বলেন যে, কোনোরকম দুশ্চিন্তা ছাড়াই তৃপ্তিদায়ক হয়ে উঠতে পারে যৌনতা। 

যদিও গবেষকদলের অন্যতম প্রধান, লা ট্রোব ইউনিভার্সিটির গবেষক ড: এলিজাবেথ মেগান স্মিথ ভিক্টোরিয়া সেক্স ইন্ড্রাস্ট্রির ন’জন যৌনকর্মীর উপর সমীক্ষা করে কখনোই বলা যায় না যে, সব যৌনকর্মীই এই শারিরীক ও মানসিকভাবে বিষয়টি উপভোগ করেন। সব যৌনকর্মীই যে যৌনসেবা দিতে পছন্দ করেন তাও নয়। গবেষণাপত্রটি ‘সেক্সুয়ালিটিস’-এ প্রকাশিত হয়েছে। এর আগে ডিসেম্বরে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, যৌনকর্মীদের স্বাভাবিক জীবন ও কাজে ফেরত আসার জন্য পুরনো কর্মক্ষেত্রে থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

ড: স্মিথ গবেষণালব্ধ বিষয়গুলির বিশ্লেষণে ফ্রেঞ্চ দার্শনিক মিচেল ফোকাল্ট -এর তত্ত্ব ব্যবহার করেছেন। তিনি এও বলেন যে, এ ক্ষেত্রে ক্ষমতা ও বুদ্ধিমত্তার গোপন সম্পর্ক আছে। সমাজের পিছিয়ে পড়া অবস্থা থেকে যৌনকর্মীদের তুলে আনার ক্ষেত্রেও গবেষকদলটি কাজ করবে বলে জানায়। যারা মূলস্রোতে ফিরতে চায়, তাদের সহযোগিতা করাও অন্যতম লক্ষ্য হিসেবে মেনে নিয়েছেন ড: স্মিথ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *