সত্যি কি রাশিয়ার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে ইসরায়েল!
নিউজ ডেস্কঃ ইরানের সাথে ইসরায়েলের সম্পর্ক যে আদায় কাঁচকলায় তা পৃথিবীর সকলেরই জানা। তবে ইরানের সাথে ইসরায়েলের এই ঝামেলার ফল ভোগ করতে হয় সিরিয়াকে।
সিরিয়াতে মাঝে মধ্যেই হামলা করতে শোনা যায় ইসরায়েলকে।সিরিয়াতে আক্রমন করে তাদের সামরিক স্থাপনা এবং ঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়াই হল মূল লক্ষ্য ইসরায়েলের। রাশিয়ার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম গুলি সেখানে মোতায়েন থাকার ফলে কিছুটা হলেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ইসরায়েলকে।
২০১০ সালের দিকে সিরিয়াতে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে সেখানের সামরিক স্থাপনা এবং সামরিক ঘাঁটি গুলিতে আক্রমন চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। তবে তাদের এই হামলার পেছনে প্রধান কারন সিরিয়া নয়। আসলে তারা ইরান এবং কুদস বাহিনীকে মাথা তুলে দাড়াতে না দেওয়া।
রাশিয়ার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম গুলিকে নজরে রেখে ইসরায়েল ইরানের সামরিক ঘাঁটি গুলির উপর বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে।
ইসরায়েলের এই হামলার ফলে ইরানের কতজন মারা গেছে তা সঠিকভাবে না জানা গেলেও ইরানের সংবাদমাধ্যম এবং একাধিক আন্তর্জাতিক সংগঠন তা প্রকাশ করতে চায়না।
তবে ২০১৯ র দিকে ইরানের কিছু ওয়েবসাইটে যে তথ্য দেওয়া হয় তা রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো। তাদের মতে ২০১১ সাল থেকে সিরিয়াতে হওয়া গৃহযুদ্ধে ইরানের কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ হাজার সেনা মারা গেছে। যদিও কিছু কিছু আন্তর্জাতিক সুত্রের মতে এই সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়ালেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা।
২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইরানী সেনাদের বেশ কিছু পরিবার বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। তার প্রধান কারন হল তাদের পরিবারের মানুষরা সিরিয়াতে নিযুক্ত হওয়ার পর আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। সবথেকে বড় এই ব্যাপার নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য জনসমুক্ষ্যে নিয়ে আসে না ইরান। মৃতদের দেহ তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়না।
ইরানের থেকে ১০ হাজারের উপর কুদস বাহিনী নিহত হয়েছে বলে সুত্রের খবর। তবে ২০১৫ সাল থেকে ইসরায়েল তাদের হামলা সিরিয়াতে করেছে তাতে প্রচুর পরিমানে মানুষ নিহত হয়েছে। সিরিয়াতে থাকা ইরানের সামরিক ঘাঁটি, রসদ সরবরাহ ব্যবস্থা এবং অস্ত্র গুদামে বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তারা। এ হামলায় প্রচুর পরিমানে ইরানের সেনার মৃত্যুর হয়েছে।