ঘোড়ার সংখ্যা মহিলাদের সংখ্যার বেশী। পৃথিবীর কোথায় গেলে দেখতে পাবেন?
নিউজ ডেস্কঃ পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ রয়েছে যাদের খাওয়া দাওয়ার আজব রীতিনীতি, পোশাক আশাক এবং নিয়মের জন্য বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। ঠিক তেমনই একটি দেশ হল কাজাখাস্তান।
এটি বিশ্বের বৃহত্তম এবং স্থলবেষ্টিত দেশ। কাজাখাস্তানে খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ দেশটি তেল এবং গ্যাস এছাড়াও কিছু কিছু জায়গায় আপেল উৎপত্তির রয়েছে। কাজাক ভাষা কাজাখস্তানের সরকারি ভাষা, তবে রাশিয়ান ভাষা ব্যবহৃত হয়। এখানকার আপেলের প্রাচীন চাকটা হলো মেলাটসিভারসি, কাজাখস্তানের ভাষায় একে আলমা বলা হয়। বন্দর না থাকলেও দেশটির নৌবাহিনী আছে কিন্তু এর এক পাশে আছে বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র কাস্পিয়ান সাগর। কাজাখস্তানের মানুষের সবচেয়ে পছন্দের খাবার হল ঘোড়ার মাংস এর সাথে জাতীয় পানীয় হচ্ছে ঘোড়ার দুধ। প্রথম ঘোড়ায় চড়া ব্যক্তি কাজাখস্তানেই ছিল।
এখানকার ঘোড়ার সংখ্যা মহিলাদের থেকেও বেশি।
এখানকার মানুষেরা বড়দের মুখের দিকে মাংস দিয়ে থাকে যাতে তাদের মুখের ভাষা ভালো হয় এবং শিশুদের কানের দিকের মাংস দিয়ে থাকে যাতে তারা সকলের কথা শুনে চলে। এমনকি উটের দুধ থেকে এক ধরনের পানীয় তারা গাজা করে খায় এর বিপুল চাহিদা রয়েছে।
খনিজ সম্পদ রয়েছে। রপ্তানি পণ্যের মধ্যে গম বস্ত্র, গবাদি পশু। ইউরেনিয়াম উৎপাদনে কাজাখকিস্তান অন্যতম একটি দেশ। ছেলেদের থেকে মেয়েদের সংখ্যা যথেষ্ট বেশি। এখানে মেয়েদের যথেষ্ট সম্মান ও স্বাধীনতা দেওয়া হয়। এখানে তারা যা খুশি করতে পারে এবং যা খুশি পোশাক পরতে পারে। এখানকার মহিলাদের বাহাদুর যোধ্যা বলে মনে করা হয় ।এখানে বেশিরভাগ মহিলা প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করে থাকে। কনস্টিটিউশন পেশাকে এখানকার সরকার আংশিক বৈধতা দিয়েছে যারা মানসিক ও শারীরিকভাবে চায় তারা করতে পারে।
কাজাখস্তানে প্রথম মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র তৈরি করা হয়ে থাকে। এখানকার লোকেরা মনে করেন কেউ যদি ঘরের ভেতর সিটি বাজায়ে তাহলে সে পুরো জীবনের জন্য গরিব হয়ে যাবে। কাজাখস্তানের একরকম স্থানীয় ঘর দেখতে পাওয়া যায় একে কাজাক ভাষায় ইয়ত বলা হয়। ঘরগুলি কাঠের ফ্রেম দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে এবং তাবুর মত যেগুলি এক স্থান থেকে আরেক স্থানে নিয়ে যাওয়া যায়।
এক ধরনের খাবার খেয়ে থাকে বেসামালমার্ক যার আক্ষরিক অর্থ হল পাঁচটি আঙ্গুল, এটি একমাত্র কাজাক খাদ্য পাঁচটি আঙ্গুল একসাথে ডুবিয়ে খেতে হয়। কাজাখস্তানের বিয়ের পদ্ধতি অন্যরকম বরপক্ষ বিবাহের আগে কন্যাকে তুলে নিয়ে আসে কোন সম্পত্তি ছাড়াই এরপর এরপর কন্যাকে একটি রুমাল দেওয়া হয় এবং কোনে যদি রুমালটিকে গ্রহণ করে নেয় তাহলে বোঝা যায় কন্যা বিয়েতে সম্মতি দিয়েছে।