লাইফস্টাইল

হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। কারিপাতার অসাধারন ৭ টি কার্যকারিতা

নিউজ ডেস্কঃ কারিপাতা। একাধিক রান্নায় ব্যবহার করা হয়, বিভিন্ন ডালেও ব্যবহার করতে দেখা যায়। তরকার ডালে ব্যবহার করা হয়ে থাকে এই পাতা। তবে শুধু স্বাদ বা গন্ধের জন্য নয় স্বাস্থ্য গুন সম্পন্ন বটেও।

দৃষ্টি শক্তির উন্নতি ঘটে

কারি পাতায় রয়েছে নানান ধরনের উপাদান যেমন- আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন এ এবং আরও নানাবিধ মিনারেল এবং ভিটামিন ইত্যাদি যা চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে খুবই উপকারি।তাই কারি পাতা  বিভিন্ন ধরনে চোখের সমস্যা যেমন  ড্রাই আই, দৃষ্টি শক্তি কমে যাওয়ার ইত্যাদির মতো বিভিন্ন ধরনের সমস্যাও দূর করতে সাহায্য করে কারি পাতা।

হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে

কারি পাতা হজম ক্ষমতার উন্নতি করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। কারি পাতায় উপস্থিত ল্যাক্সেটিভ প্রপাটিজ যা  হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি শরীরে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদেরও বের করতে সাহায্য করে।যার ফলে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি মেটে

কারি পাতা দেহের ভিতরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।যার ফলে শরীরে একাধিক রোগ দূরে রেখে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে।

লিভার চাঙ্গা হয়ে ওঠে

কারি পাতাতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রকৃতিক উপাদান যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং ক্ষতিকর টক্সিনের হাত থেকে লিভারকে রক্ষা করে।যার ফলে শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আবার যারা অ্যালকোহলের সেবন করেন তাদের লিভারের উপর অ্যালকোহলের একটি কুপ্রভাব পড়ে আর তাই কারি পাতা খেলে লিভারের উপর এই অ্যালকোহলের কুপ্রভাবও পরে কম।

ত্বকের সংক্রমণের প্রকোপ কমায়

কারি পাতায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপাদান যেমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল প্রপাটিজ যা যে কোনও ধরনের স্কিন ইনফেকশন কামতে বিশেষ সাহায্য করে।

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে

কারি পাতা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে।তাই খাবারে  প্রতিদিন কারি পাতা দিয়ে খেলে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক লেভেলের উপরে যাওয়ার সুযোগ পায় না।রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখার পাশাপাশি কারি পাতায় উপস্থিত ফাইবারও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

হার্টের ক্ষমতা বাড়ে

আমাদের শরীরে দুই ধরনের কোলেস্টেরল থাকে একটি ভালো কোলেস্টেরল আরেকটি খারাপ কোলেস্টেরল।কারি পাতাতে রয়েছে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা রক্তে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং  ভাল কোলেস্টরলের পরিমাণও বাড়তে সাহায্য করে।যার ফলে হার্টের কর্মক্ষমতার উন্নতি ঘটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *