পৃথিবীর কোন দেশে বিনামূল্যে গ্যাস, বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়া হয় জানা আছে?
নিউজ ডেস্কঃ ভাবুন যদি জল, গ্যাস, বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়া হয় তবে কেমন হত? হয়ত আপনার সঞ্চিত অর্থের অনেকটা বেঁচে যেত। জানেন কি এরকমও দেশ রয়েছে যেখানে বিনামুল্যেই দেওয়া হয় এইসকল পরিষেবা। হ্যা ঠিকই শুনছেন এশিয়াতে এরকম দেশ রয়েছে যা এইসকল কিছু বিনামূল্যে দিয়ে থাকে।
মধ্য এশিয়ার দক্ষিণ পশ্চিম অংশে অবস্থিত তুর্কমেনিস্তান। বিশ্বের প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ রয়েছে এই তুর্কমেনিস্তানে। তুর্কমেনিস্তানে জনগণ বিনামূল্যে জল,বিদ্যুৎ,গ্যাস এর সুবিধা ভোগ করে থাকে কারণ এই স্থানের মানুষেরা মাছের তেল বাঁচানোর জন্য ঘরে গ্যাস জ্বালিয়ে রাখত সেই ঘরে গ্যাস বন্ধ না করার কারণে অনেক ঘরে আগুন লেগে অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে যায় তাই জন্য সেখানকার সরকার এই বিধি-নিষেধ চালু করেন। তুর্কমেনিস্তানের সরকারি ভাষা তুর্কমেন। এই স্থানের রাজধানী শহর আশগাবতকে বলা হয় সাদা শহর। এই শহরের বড় বড় দালানগুলো সাদা মার্বেল পাথরেরের হয়ে থাকে। ২০০৪ থেকে কোন অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় না এই স্থানে।
তবে তুর্কমেনিস্তানের ভ্রমণকারীদের জন্য সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হচ্ছে দারভাজা গ্যাস আগ্নেয়গিরির মুখ। মরুভূমির মাঝখানে যা ক্রমাগত জ্বলছে এই জলা মুখটিকে নরকের প্রবেশদ্বার বলা হয়ে থাকে। এই দেশটিকে প্রাকৃতিক গ্যাসের দেশ বলে মনে করা হয়।
বিশ্বের রহস্যময় দেশ বলা হয়ে থাকে কারণ এ দেশটি সোশ্যাল নয় এই দেশটি যদিও এশিয়ার মধ্যে পড়ে কিন্তু এরা কোন মানুষকে সাহায্য তো দূরের কথা কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করা যায় না কারণ এদের দেখলে মনে হয় এরা কারো সাথে সাক্ষাৎ করতে চায় না।
তুর্কমেনিস্তানের কোনো গণমাধ্যম নেই কারণ এদেশের মানুষ গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে না। যারা গান করে তাদের লাইভ পারফরম্যান্স দেখাতে হয় শুধু মুখ নাড়িয়ে গান এই স্থানে গান করা যায় না।
তুর্কমেনিস্তান একটি ইসলামী ও দেশ এখানে সরকারের নিয়ম মেনে চলতে হয়। এখানকার কোন ব্যক্তি নিজের দাড়ি লম্বা করতে পারেনা, এমনকি চুল ও লম্বা করতে পারে না তাই কোনো ব্যক্তিকে চুল রাখতে দেখা যায় না।
এখানকার সকল মানুষ sheepskin Hat মাথায় দিয়ে থাকে কারণ এখানকার তাপমাত্রা এত বেশি তাই এরা বাড়ির বাইরে বেরোলেই মাথায় টুপি ছাড়া বেরোয় না।
একজন তুর্কমেন নারীকে বিয়ে করার জন্য সরকারি অনুমতি পেতে হয় একজন বিদেশীকে ৫০ হাজার ডলার ফি দিতে হয়।