কৃমির মতো সমস্যা দূর করতে সহায়ক। রসুনের অসাধারন কিছু কার্যকারিতা
নিউজ ডেস্কঃ তেলে ঝালে ঝোলে রান্না করতে গেলে রসুন চাই ই চাই।তাই রান্নার ক্ষেত্রে এর গুরুত্বটা ঠিক কতটা সেটা আর বলার দরকার নেই কারন এটা সবাই জানে।তবে রসুন রান্নার স্বাদ বাড়ানো ছাড়াও এর নিজস্ব কিছু গুণাবলি রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্যকে ভালো এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।তবে উপকারের জন্য কোনও কিছুই অতিরিক্ত খাওয়া উচিৎ নয়।তাই রসুনও যদি পরিমাণ মতো খাওয়া যায় তাহলে তা খুবই উপকারী শরীরের পক্ষে। তাহলে জেনে নিন যে কতটা পরিমাণ রসুন খাবেন এবং তার সাথে জেনে নিন রসুনের বহুমুখী গুণাবলি সম্পর্কে।
১।রসুনে রয়েছে এমনকিছু উপাদান যা আমাদের শরীরের রক্ত পরিষ্কার রাখাতে সাহায্য করে। এই জন্য যাদের মুখে বা ত্বকে নানা র্যাশ, চুলকানির মতো সমস্যা দেখা দেয় তাদের পক্ষে সকালে রোজ দু’কোয়া করে রসুন খাওয়া খুবই উপকারী। আর তার সাথে খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে জল।
২। শরীরের থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করতে রসুন খুবই কার্যকরী। তাই শরীরের থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করতে এক গ্লাস উষ্ণ জলে অর্ধেক পাতিলেবুর রস এবং দু’কোয়া রসুন কুঁচি গুলে খান।
৩। বহু মানুষ আছে যারা প্রায় ঠান্ডার সমস্যা ভোগে তাই তাদের জন্য একটি উপকারী উপাদান হল রসুন।কারন রসুন ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা যেমন- নাক বন্ধ হওয়ার, সাইনাসাইটিসের কষ্ট ইত্যাদি থেকে মুক্তি দেওয়ার পাশপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।তাই ঠাণ্ডা লাগলে গার্লিক টি বানিয়ে খেতে পারেন।এর জন্য প্রথমে গরম জল করে তাতে রসুন থেঁতো করে ফুটিয়ে নিয়ে তারপরে তা ছেঁকে পান করতে হবে।এছাড়াও গরম ভাতের সঙ্গে ঘিয়ে ভাজা রসুন খেতে পারেন।
৪। আমাদের শরীরে দুই ধরনের কোলেস্টেরল থাকে একটি ভালো কোলেস্টেরল আর আরেকটি খারাপ কোলেস্টেরল।রসুন এই খারাপ কোলেস্টেরল করে নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে।তাই রসুন কাঁচা কিংবা হালকা সিদ্ধ করে খেতে পারেন।এটি রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রনে রেখে হার্টকে ভাল রাখতে সাহায্য করবে।
৫।রসুন অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে যার ফলে শরীরে খারাপ ব্যাকটিরিয়া, ফাঙ্গাস এবং প্যারাসাইটের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে কার্যকরী।কারন রসুন অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়াল এবং অ্যান্টি প্যারাসাইটিক গুন সম্পূর্ণ।এছাড়াও কৃমি মতো সমস্যা দূর করতে সহায়ক।