সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে। মেথির অসাধারন ৪ টি কার্যকারিতা
নিউজ ডেস্কঃ বাঙালি রান্নায় এমন কিছু উপরকন আছে যা সেভাবে মানুষের কাজে লাগেনা বলে প্রচুর মানুষ জানে। কিন্তু এই উপকরণ গুলি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে, তাহলে মানুষের বিরাট উপকার হবে। অর্থাৎ মানুষের একাধিক রোগ সারাতে সাহায্য করে থাকে।
কোলেস্টেরল কমেঃ মেথির শরীরে থাকা স্টেরিওডাল সেপোনিনস নামক একটি উপাদান কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।তাই মেথি ভেজানো জল পান করলে হার্টের আর্টারি আটকে গিয়ে হঠাৎ করে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমে পায়।
সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখেঃ কম বয়সেই যদি ব্লাড সুগার ঊর্ধ্বমুখী থাকে তাহলে নিয়মিত মেথি ভেজানো জল খাওয়া উচিত।এমনটা করলে শরীরে গ্লেকটোমেনানের পরিমান বাড়াতে থাকে যা শর্করার শোষণের পরিমান কমিয়ে দেয়।ফলে সুগার লেভেল বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
হজমের উন্নতিঃ ভোজন রসিক বাঙালি অল্প বিস্তর পেটের রোগে আক্রান্ত এটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।তাই গ্যাস অম্বল রোজের বন্ধু হবে এ আর নতুন কথা কি? কিন্তু একটি সহজ উপায়ে হজমের ক্ষমতার উন্নতি ঘটাতে পারে।মেথির বীজ গ্রহন করলে বাওয়েল মুভমেন্টের উন্নতি ঘটে ফলে পেট সংক্রান্ত আর কোন সমস্যায় থাকে না।আসলে মেথিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা হজমের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।নিয়মিত সকালে খালি পেটে মেথি ভেজানো জল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও অনেকাংশে দূর হয়।
সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখতে, ওজন কমাতে এই প্রক্রিয়ায় মেথি খাওয়া অভ্যাস করুন
ওজন কমায়ঃ প্রতিদিন সকালে খালি পেটে জলে ভেজানো মেথির বীজে খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীরে ফাইবারের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষিদে কমে যায়।এমনটা হওয়ার কারনে খাওয়ার পরিমানে লাগাম পরে।ফলে ওজন কমতে শুরু করে।