অফবিট

সহজেই ট্রেকিং করুন মাউন্ট এভারেস্টে

নিউজ ডেস্কঃ-পাঠ্যপুস্তক পড়েই ছোট থেকেই সকলের জানেন যে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্ট। যার উচ্চতা ৯৯৯৯ মিটার। বহু মানুষের স্বপ্ন থাকে এভারেস্ট শৃঙ্গ কিছু ওয়ার্ড এমনকি তার চূড়ায় ওঠার।  কিন্তু ভয় ভীতির কারণে অনেকেই  ইচ্ছা পূরণ করতে পারেন না।  তবে এবার অপারক পর্যটকদের জন্য সহজ রাস্তা বের করেছে সেখানকার গাইডরা।  এখন থেকে অন্য একটি ট্রেকিং রুটের মাধ্যমেই পর্যটকরা পৌঁছতে পারবে পাহাড়ের চূড়ায় এবং উপভোগ করতে পারবে তার সৌন্দর্য। 

যারা চ্যাটিং করতে আসে তাদের গাইডরা আগে থেকেই বলে দেয় ট্রাকিং এর জন্য সম্পূর্ণরূপে ফিট এবং মনে অদম্য ইচ্ছা থাকতে হবে।  কারণ ক্রেকিং এর মাঝ পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কিংবা অসুস্থ হয়ে পড়া বিপদজনক ঝুঁকি হতে পারে। তবে এবার অন্নকূট এর ট্রেনিং শুরু করেছে মাউন্ট এভারেস্টের গাইডরা। সে ট্রেকিং এর নাম হচ্ছে এভারেস্ট ভিউ ট্রেক রুট।  

এই অভিনবত্ব ট্রেকিং রুট এর মাধ্যমে পর্যটকরা এভারেস্ট শৃঙ্গে পৌছাতে পারেন। সেক্ষেত্রে সময় লাগবে ৫-৬ দিন। তবে ট্রেকিং করার মধ্যেই রয়েছে আলাদা একটা মজা। এখানে পর্যটকরা প্রত্যক্ষভাবে এভারেস্টের সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি এখানে বসবাসরত বিশেষ সম্প্রদায়ের সেরপাদের সঙ্গে  পরিচিত হতে পারবে।  কারণ শৃঙ্গের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্প্রদায় সেরপা ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে। এছাড়াও একেবারে নিকট থেকে প্রত্যক্ষ করতে পারবেন মাউন্ট আমা দাবলাম,   এভারেস্টের পূর্বদিকে তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বত লোৎেসর এবং খুম্বু অঞ্চল।  খুম্বু অঞ্চলের কেন্দ্রস্থল হচ্ছে নামচে বাজার।  এই ট্রেকিংয়ের জন্য খুব একটা শারীরিক ফিটনেসের প্রয়োজন হয় না।  

ট্রেকিং শুরুর পদ্ধতি –  বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিমানবন্দর লুকলা  এয়ারপোর্ট থেকে এভারেস্ট ভিউ ট্রেকর যাত্রা শুরু হয়। আর তবে এখানে প্রতিদিন সকালে কাঠমান্ডু থেকে একটি এয়ারক্রাফট আসে প্রয়োজনীয়তার জন্য।  এই ট্র্যেকের সময়  সাগরমাথা জাতীয় উদ্যানের প্রবেশপথ থেকে পাহাড়ি অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে একটু একটু করে এভারেস্টে দিকে এগিয়ে চলে পর্যটকরা।  তবে এই যাত্রাপথের মধ্যেই দেখা যাবে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য।   নেপালের এভারেস্ট অঞ্চলে সংরক্ষিত রয়েছে তিব্বতে বৌদ্ধ ধর্ম সংস্কৃতি সেটাও চাক্ষুষ প্রদর্শন করা যাবে।  তবে এভারেস্টের  কেন্দ্রীভূত বিষয়টি হলো সেরপাদের সংস্কৃতি।  কারণ এভারেস্টের সঙ্গে এরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।  এদের রাজনীতি থেকে শুরু করে ঐতিহ্য সংস্কৃতি এবং জীবনধারার আলাদা পদ্ধতির প্রত্যক্ষ সাক্ষী হতে পারবে পর্যটকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *