অফবিট

পৃথিবীর সবথেকে বেশী লম্বা মেয়েদের বাস কোন দেশে?

নিউজ ডেস্কঃ ইউরোপের সবথেকে সুন্দর শহরের যদি একটি তালিকা বানাতে বলা হয় থাকে আপনাকে তাহলে নিশ্চয়ই সবার আগে সুইজারল্যান্ড বা ফ্রান্সের মতো দেশ আপনার তালিকার প্রথম দিকে অবস্থান করে নেবে। তবে এর থেকেও সুন্দর দেশ রয়েছে ইউরোপে যেখানে অনেক কম অর্থে মদ্যপান করার পাশাপাশি ১০,০০০ এর উপর শুধু নদী রয়েছে। লাতভিয়া।

লাতভিয়া ইউরোপের এমন একটি দেশ যাকে ইউরোপের সবথেকে সুন্দর দেশগুলির মধ্যে একটি মনে করা হয়। লাতভিয়ায় রয়েছে উর্বর জমি ও সবুজ ভরা জঙ্গল। বর্তমানে ইউরোপীয়ান দেশগুলোর তালিকায় পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে। সবথেকে বেশি জঙ্গলে ভরা তাই এই দেশের মোট চাষের জমি এতটাই উর্বর যে জমিতে আর রাসায়নিক সারের প্রয়োজন হয় না। ইউরোপের উত্তরে অবস্থিত একটি ছোট্ট দেশ, যাকে বিশ্বের সবুজ পূর্ণ দেশের মধ্যে ধরা হয়। এখানে প্রায়৪২ শতাংশ জঙ্গলে ভরা এখানে দশ হাজারের ওপরে নদী আছে দুই হাজার থেকেও বেশি ঝিল উপস্থিত আছে। জঙ্গল খুব বিচিত্রময় এখানে অনেক জীবজন্তুর বসবাস রয়েছে। 

লাতভিয়ার একটি ঝর্ণা পুরো ইউরোপের চওড়া ঝরনা বলে জানা যায়। এখানকার মানুষ বেশি লাতভিয়ান ভাষায় ব্যবহার করে থাকেন। এমনকি এখানকার মানুষ নিজের ভাষাকে নিয়ে  খুব গর্ব করে থাকেন। এখানকার মানুষ নাচ-গান করতে পছন্দ করে।

লাতভিয়ানের  সবথেকে বড় শহর হল রিগা শহর‌। এই শহর সৌন্দর্যের জন্য খুবই বিখ্যাত। বলা হয় থাকে প্রথম ক্রিসমাস নাকি এখানেই শুরু হয়ে থাকে। এখানকার জঙ্গল থেকে আসে মানুষের ইনকাম। এখানকার সবুজে ভরা জঙ্গলের কাট অনেকভাবে তারা ইনকাম করে থাকে। যার জন্য গাছকে তারা সবুজ সোনা বলে থাকে। রিগা শহরে অনেক কাঠের বাড়ি দেখতে পাওয়া যায়। এগুলো জঙ্গলের কার্ড দিয়েই তৈরি। এছাড়াও এখানে একটি মিলিটারি জেল আছে যেখানে  টাকা দিয়ে মজা নিতে পারে সবাই‌।

লাতভিয়ার মুদ্রাকে ইউরো বলা হয়ে থাকে। বেশিরভাগই মানুষ খ্রিস্টান। দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকরা এখানে সমুদ্র বিচে আনন্দ উপভোগ করতে আসেন।

লাতভিয়ার মেয়েরা বিশ্বের সবথেকে লম্বা বলে মনে করা হয়। এই দেশে ছেলেদের থেকে মেয়েদের সংখ্যা অনেক বেশি। এখানকার মেয়েরা অনেক বেশী সুন্দরী হয়ে থাকেন। স্কুল কলেজের ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের সংখ্যা বেশি তাই মেয়েদের শিক্ষাগত যোগ্যতার হার বেশি। পুঁজিবাদী ব্যবস্থার লাতভিয়ার মহিলারা যতটা এগিয়ে আছেন ততটাই পিছিয়ে পড়েছেন সেখানকার পুরুষেরা। পুরুষদের চেয়ে মেয়েরা সেখানে গড়ে ১১ বছর করে বেশি বাঁচে।

২০০৮ বৈশ্বিক আর্থিক মন্দা যখন সেখানে ছায়া ফেলল তখন লাতভিয়ার পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে গেছিলো। এই জন্য পুরুষদের সংখ্যা খুবই কম। লাতভিয়ার মেয়েরা বিদেশে গিয়ে সেখানে অনেক ছেলেদের সাথে আলাপ করে।  এখানকার ছেলেরা মদ্যপান কিংবা ধূমপান করে মেয়েদের আকর্ষিত করার চেষ্টা করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *