মালয়েশিয়াকে মিনি এশিয়া বলার পেছনে কি কারন রয়েছে?
নিউজ ডেস্ক- মানুষেরা হলুদ জামা কাপড় এমনকি হলুদ রঙের আন্ডারওয়ার ও পরতে পারে না। মালয়েশিয়া এশিয়ার একটি ছোট্ট দেশ এটি এশিয়ার দক্ষিণ পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত । দেশটির মোট আয়তন ৩,২৯,৮৪৫ বর্গকিমি। দেশটিতে দুটি রাজধানী রয়েছে, কুয়ালালামপুর ও প্রশাসনিক রাজধানী হল পুত্রজায়া। মালয়েশিয়ার সরকারি ভাষা মালয়।
মালয়েশিয়া দেশ সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য হল
1. মালয়েশিয়া চীন সাগর দ্বারা দুটি খণ্ডে বিভক্ত উত্তর ও পূর্ব মালয়েশিয়া। দেশটিকে মিনি এশিয়া ও বলা হয়। এই দেশটিতে নানান ধর্ম ও বর্ণের মানুষ একসঙ্গে থাকে।
2.দেশটিতে যৌনব্যবসা অবৈধ ও আইন বিরোধী কিন্তু এখানে রয়েছে নাইট ক্লাব, বার ও এখানকার মাসাজ পার্লারের সচরাচর এই জিনিসগুলো দেখা যায়।
2. এখানকার মানুষেরা হলুদ জামা কাপড় এমনকি হলুদ রঙের আন্ডারওয়ার ও পরতে পারে না। এখানে হলুদ রং কে প্রতিবাদীদের রং বলা হয়। এখানে একটি রাজনৈতিক দল আছে যারা হলুদ রঙের জামা কাপড় পড়ে প্রতিবাদ জানায়। তাদের এই আচরণের বিরুদ্ধে হলুদ রঙ কে পুরো দেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
3. এই দেশটিতে একটি মন্দির রয়েছে যেটি সাধারণ মানুষের কাছে সাপ মন্দির নামে পরিচিত। সেখানে রয়েছে শতাধিক বিষাক্ত সাপ। এই মন্দিরের সচরাচর এই সাপ গুলোকে ঘুরতে দেখা যায়। কিন্তু এই সাপ গুলো কাউকে কামড়ায় না।
4. এ দেশটিতে এক প্রকার মাছ পাওয়া যায় যা দেখতে অনেকটা মানুষের মুখের আকৃতির মত। মানুষের ঠোঁট ও দাঁতের মতো দেখতে এই মাছ টিগার ফিশ নামে পরিচিত।
5. মালয়েশিয়ার সবথেকে উচ্চভূমি হলো ক্যামেরুল হাইল্যান্ড এই হাইল্যান্ড কে মালয়েশিয়ার কোল্ড স্টোর কারণ এখানে সব সময় শীতকালীন আবহাওয়া দেখা যায় এবং এখান থেকে পুরো মালয়েশিয়ার শীতকালীন শাকসবজি ফলমূল উৎপাদন করা হয়।
7. মালয়েশিয়ার বিখ্যাত মসজিদের বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া আছে। মসজিদে প্রবেশের পূর্বে লুঙ্গি, গাউন, ওড়না ব্যবস্থা রয়েছে যা পরিধান করে মসজিদে যে কেউ প্রবেশ করতে পারে।
8. এদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা খুবই উন্নত। এখানে কোন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার জন্য আগে থেকে অ্যাপোয়েন্টমেন্ট নিতে হয় না।
9. এই দেশে খাদ্যের এক বৈচিত্রের মেলবন্ধন ঘটেছে দেশটিতে মালয়, চাইনিজ, ভারতীয় ও থাইল্যান্ডের খাবার এখানকার রাস্তার পাশের দোকান ও রেস্তোরাঁয় খুব কম দামে পাওয়া যায়।
10. দেশটির বেশিরভাগ মানুষ মুসলিম। দেশটির মুসলিম দেশ হওয়া সত্ত্বেও এখানকার স্কুলে যৌন শিক্ষা দেওয়া হয়। মূলত অল্প বয়সীদের অবাঞ্ছিত গর্ভধারন, বহুকামিতা ইত্যাদি বিষয়ে সঠিক ধারণা জন্য এখানকার স্কুলগুলোতে সেক্স এডুকেশন ব্যবস্থা রয়েছে।