লাইফস্টাইল

মস্তিষ্ককে সজাগ রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। উপোস করার অসাধারন কিছু উপকারিতা

নিউজ ডেস্কঃ উপোস মানেই আমাদের কাছে দেব দেবতার পূজাঅর্চনার করার একটি নিয়ম।আগেকার দিনে এই উপোসের বহুল প্রচলিত ছিল কিন্তু যত দিন যাচ্ছে তত মানুষ আধুনিক হচ্ছে আর তার সাথে সাথে উপোসের চলটাকে উঠিয়ে দিচ্ছে।কিন্তু উপোসের এই চলটা উঠিয়ে দিয়ে যে নিজেদের অজান্তে শরীরে পক্ষে একটি ভালো অভ্যাসকে ত্যাগ করে ফেলছে সেটা হয়ত জানেন না।কারন উপোস করাটা শরীরে খুবই পক্ষে ভালো।তাহলে জেনে নিন উপোস করার উপকারিতা।

১) উপোসে শরীরের ইনসুলিনের ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি  শরীরের কোষগুলি রক্ত থেকে অনেক বেশি পরিমানে গ্লুকোজ সংগ্রহ করতে পারে। এছাড়াও নির্দিষ্ট সময়সীমার উপোস করার ফলে শরীরের কার্বোহাইড্রেট গ্রহণের ক্ষমতাও বাড়ে৷

২) উপোস করলে আমাদের পাচনতন্ত্র বিশ্রাম পায় যার ফলে হজম ক্ষমতা বাড়ায় ও মেটাবলিজিমের হার বৃদ্ধি পায়।

৩) উপোস আমাদের মস্তিষ্কের কাজ ভাল করে করতে সাহায্য করে।যার ফলে মস্তিষ্কের ক্রিয়া উন্নত হয়৷কারন দিনে  নির্দিষ্ট কয়েক ঘণ্টার উপোস মস্তিষ্কে নিউরোট্রাফিক নামে প্রোটিন অধিক উৎপন্ন করতে সাহায্য করে যার ফলে এই প্রোটিন মস্তিষ্ককে সজাগ রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

৪)এছাড়াও উপোস আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।কারন উপোসের ফলে আমাদের শরীর থেকে বেশি মাত্রায় টক্সিন বেরিয়ে যায়৷তাই এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ত্বক স্বছ ও ব্রণ নির্মূল করতেও সাহায্য করে৷

আর যারা পুরোপুরি উপোস করতে চায় না তারা কিছু নিয়ম মেনে খাবার খান যা আপনাদের শরীরকে ফিট রাখতে সাহায্য করবে।

পুরোপুরি খাবার না খেয়ে মাঝে মধ্যে শুধু ফল খেয়ে দিন কাটান।

একটা পুরোদিন শুধুমাত্র শাক-সবজি খেয়ে থাকুন।

যেকোন একদিন  সবজি ও ফলের রস খেয়ে কাটান ।

রাতের খাওয়া তাড়াতাড়ি সেরে ফেলুন৷ আর পরের দিন সকালে দেরি করে  সকালের খাবার খান।আর মাথায় রাখবেন একটি বিষয় যেন এই আগের রাতের ডিনারের সঙ্গে পরের দিনের ব্রেকফার্স্টে র গ্যাপ  ১৬ ঘণ্টার হয়।

তাই সপ্তাহের অন্তত যেকোন একদিন এই নিয়মটি মেনে চলার চেষ্টা করুন তাতে আপনার শরীর সম্পূর্ণ ফিট থাকবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *