অফবিট

পৃথিবীর কোন প্রাণীর দেহ ক্যান্সার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রয়েছে?

নিউজ ডেস্ক – চিকিৎসাবিজ্ঞানে হাতি ও মানুষ দুজনেই স্তন্যপায়ী প্রাণী হাওয়ায় এদের দেহের একাধিক ক্রিয়া-কলাপের বহু সাদৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। তবে বিভিন্ন গবেষণায় জানা গিয়েছে যে কোশের কারণে মানুষের শরীরে ক্যান্সার হয় ঠিক সেই  কোশের জন্য হাতিদের শরীরেও ক্যান্সার তৈরি হয়। তবে ১৭ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয় ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে। হাতিদের ক্ষেত্রে সেই মৃত্যুর লক্ষণটা দেখা যায় না। এর কারণ হিসেবেও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। 

শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ভিনসেন্ট লিঞ্চের দুই স্তন্যপায়ী প্রাণী অর্থাৎ হাতি ও মানুষের জেনেটিক পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন,  কঙ্গোতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত এই সকল ওকাপি সম্প্রদায়ের  হাতি সহ মানুষদের শরীরে এক বিশেষ ধরনের জিন পি৫৩ রয়েছে। সকল মানুষের শরীরে এই জিনটি সুপ্ত অবস্থায় থাকে। এই জিনের মূলত কাজ হলো দূষিত ও বাজে ডিএনএ নষ্ট করে ফেলা। কার্যত শরীরের দূষণমুক্ত করার ভূমিকা রাখে জিনটি। তবে দেখা যায় এই সকল জিন বেশি সক্রিয় হয়ে উঠলে শরীরে ক্যান্সার রোগ বাসা বাঁধে।  কিন্তু যদি মূল্যায়ন করা যায় তাহলে দেখা যাবে একই দিনে একটি হাতি ও মানুষ ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হলে যে রোগ ম্যালিগন্যান্ট হয়ে মানুষের শরীরে সেটি ১০০ গুণ বেশি প্রভাব ফেলে হাতির শরীরে। কিন্তু তা সত্বেও কয়েকদিনের ব্যবধানে আবার সুস্থ হয়ে ওঠে হাতিটি। তবে কঙ্গোতে নব্বইয়ের দশকে ওকেপির সংখ্যা ছিল ৪০০। কিন্তু ১০ বছর পরে এর সংখ্যা দাঁড়ায় ২ হাজার ৫০০তে। যদিও এর কারণ হিসেবে সেখানকার ব্যবসা ও সহিংসতাকে দায়ী করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *