রোগা হতে মাছ-মাংস এবং ডিম খাওয়ার কথা কেন বলা হয়?
নিউজ ডেস্কঃ বাড়তি ওজন এখন এক সমস্যা অনেকেরই। আর সেই কারনে আজকাল টিন এজ থেকে শুরু করে অনেক মধ্য বয়স্ক মহিলা এবং পুরুষদের ডায়েট থেকে অনেক খাওয়ার বাদ দিয়ে থাকেন। কিছু সময় তারা ডাক্তারের সাথে কথা বলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করলেও কিছু সময় তারা সাধারনভাবে রোজকার খাওয়ার থেকে মাছ, মাংস, ডিমকে বাদ দিয়ে থাকেন।
ওজন কমানোর জন্য যদি নিজের খাওয়ার থেকে মাছ, মাংস বা ডিমের মতো আমিষ খাওয়ারকে বাদ দেন তাহলে একাধিক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে। রোগা হওয়ার আসল চাবি কাঠি রয়েছে প্রোটিন পূর্ণ মাছ-মাংস-ডিমের মতো আমিষ খাওয়ারেই।
আন্তর্জাতিক এক সংবাদপত্রে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে, মানুষের শরীরে প্রোটিন দরকার হয় প্রচুর পরিমানে। আর বেশ কিছু মানুষ নিজেদের খাওয়ারে প্রোটিনের পরিমাণ কমিয়ে ফেলে নিজেদের ক্ষতি করেন, কারন প্রোটিনের অভাব পুরন করতে গিয়ে কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাট জাতীয় খাওয়ার তখন বেশী পরিমানে খেয়ে থাকেন, আর তখনই ওজন বাড়তে থাকে।
শেষ ৬ দশকে ওয়েস্টার্ন কান্ট্রি গুলিতে প্রোটিনের পরিমাণ কমিয়ে বাড়িয়েছে কার্বোহাইড্রেটের পরিমান আর সেই কারনে তাদের ওজন বেড়েছে মারাত্মকভাবে।
সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক জানিয়েছেন যে , ‘পেট ভরাতে খাওয়ারে নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রোটিন না থাকলে ভীষণভাবে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।’ পাশাপাশি স্বাস্থ্যের যথাযথ সুরক্ষার জন্য মেনুতে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাটের থাকা জরুরী। তবে প্রোটিন যুক্ত খাওয়ার রোগা থাকতে সাহায্য করলেও বেশী পরিমানে প্রোটিন খেলে তা শরীরে একাধিক রোগ ডেকে বয়ে নিয়ে আসতে পারে।