ভারতবর্ষের যে রাজ্যে মানুষের বয়েস বারেনা
নিউজ ডেস্ক – মৃত্যু এমন একটা জিনিস যেটি কঠিন হলেও বাস্তব। জন্মালেই মৃত্যু হবে কথাটি সম্পূর্ণ সত্য। একাধিক বেদ-বেদান্তেও এই কথাটি খদিত রয়েছে। তবে পৃথিবীর বুকে এমন একটি জায়গা রয়েছে যেখানে মৃত্যু কথাটি মিথ্যা। সকলের কাছে বিষয়টি আশ্চর্যকর মনে হলেও এটি সম্পূর্ণ বাস্তব।
পৌরাণিক গ্রন্থে তিব্বতি বৌধ এবং প্রাচীন গ্রন্থে এর উল্লেখ পাওয়া যায়। সেখানে পরিষ্কার করে উল্লেখ করা হয়েছে জি হিমালয়ের বুকে এমন একটি জায়গা রয়েছে যেখানে মানুষের মৃত্যু হয় না। মানুষদের বয়স বাড়ে না। হিমালয়ের পাদদেশ প্রায় ২৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই অঞ্চল জুড়ে রয়েছে ঐশ্বরিক সম্পন্ন ধারী ব্যক্তিরা। কথিত অনুযায়ী এরা যখন মানব জগতে পদার্পণ করে তখনই মানবজাতি সৃষ্টি হয়।
হিমালয়ের এই অংশটিতে বেশ কিছুদিন বসবাস করেছিলেন পান্ডুরাজার বরপুত্র যুধিষ্ঠির ও তার পরিবারের সদস্যরা। এছাড়াও কলিযুগের নারায়ণের অবতার ভগবান কল্কি দেবের ভবিষ্যৎ বাণীতেও হিমালয়ের এই স্থানটির উল্লেখ পাওয়া যায়। অনেকে মনে করেন কল্কি দেবের শুরু এখনো তার জন্মের জন্য আপেক্ষমান। তবে সবথেকে আশ্চর্যজনক ব্যাপার হল হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত সেইসকল মানুষরা ইচ্ছা করলেই মানব জগতে হস্তক্ষেপ করতে পারে কিন্তু সাধারণ মানুষ চাইলেই সেখানে যেতে পারে না।
প্রতিটি ধর্মীয় কাহিনীতেই অঞ্চলের নাম ভিন্ন। কোথাও সম্ভাল, কোথাও সিদ্ধাশ্রম এবং কোথাও সাংগ্রী- লা নামে পরিচিত এই অলৌকিক পাহাড়ি স্থানটি।