গর্ভাবস্থায় ভিটামিন ডি খেতে কেন বলার পেছনে কি কারন রয়েছে?
নিউজ ডেস্কঃ গর্ভাবস্থায় মেয়েদের যত্ন নেওয়াটা ভীষণভাবে দরকার। কারন এই সময় তার নিজের পাশাপাশি ভরুনেরও বেড়ে ওঠার ব্যাপার থাকে। আর সেই কারনে খাওয়ার দাওয়ারের উপর বিশেষভাবে নজর দেওয়াটা দরকার। প্রোটিন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ভিটামিন শরীরে যাতে সঠিকভাবে যায় সেই দিকে নজর দেওয়াটা দরকার।
গর্ভাবস্থায় ভিটামিন ডি এক বিরাট ভূমিকা পালন করে। গর্ভাবস্থার প্রথম ২৬ সপ্তাহের মধ্যে যদি মায়ের শরীরে এই ভিটামিনের মাত্রা ঘাটতি থাকে তাহলে ব্যাপক হারে প্রিক্যালম্পসিয়ায় ভুগতে পারেন৷ এমনই তথ্য উঠে এসেছে এক গবেষণায় ৷ প্রিক্যালম্পসিয়া বলতে বোঝায় হাইপার টেনশন, উচ্চ রক্তচাপ, মানসিক অবসাদ, মূত্রে প্রোটিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি৷ তবে এটি অনেকক্ষেত্রে প্রাণহানি পর্যন্ত ঘটাতে পারে৷
ইউনিভার্সিটি অফ পিটসবার্গ গ্র্যাজুয়েট স্কুলের পাবলিক হেলথ স্টাডির গবেষকেরা এরকমই এক গবেষণা করেছিলেন৷ প্রায় ৭০০ গর্ভবতী নারীর রক্তের নমুনা সংরক্ষণ করা হয়েছিল৷ রক্তের পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছিল যে যেসব মায়েদের শরীরে ভিটামিন ডি এর মাত্রা তুলমানুলক কম রয়েছে সেসব মহিলারা পরবর্তীকালে বিরাটভাবে প্রিক্যালম্পসিয়ার শিকার হয়েছেন৷
এই গবেষণার এক গবেষক এবং তার সহকর্মীরা আরও ৩,০০০ এর মতো মহিলার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন যারা প্রিক্যালম্পসিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন না কোনভাবেই৷ গবেষকেরা কয়েকটি বিষয় খেয়াল করে দেখেন যে মহিলাদের শরীরের ভিটামিন ডি নিয়ন্ত্রণ করে যেসব জিনিস সেইগুলি হল– প্রাক গর্ভাস্থায় শরীরে ভর সূচক, গর্ভধারণের সংখ্যা, ধুমপান, খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক কার্যকলাপ ইত্যাদি৷ মানব শরীরে ভিটামিন ডি এর উৎসের একটি প্রধান মাধ্যম হল সূর্যের আলো৷ এই গবেষণা থেকে আরও প্রমাণিত অনেক কিছু প্রমানিত হয়েছিল, শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকলে তা শরীরের প্রিক্যালম্পসিয়ার ঝুঁকি প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কম করতে সক্ষম৷ তবে গবেষকেরা লক্ষ করেছেন যে গর্ভবস্থায় সামান্য প্রিক্যালম্পসিয়া হয়েই থাকে, তবে এর সঙ্গে যদিও ভিটামিন ডি-র কোন সম্পর্ক নেই৷