অফবিট

ছোট আঙ্গুল থেকে লম্বা আঙ্গুল। আঙ্গুল দেখে যেভাবে মানুষের চরিত্র বিচার করা উচিৎ

নিউজ ডেস্ক  –  মানুষের হাতের রেখা দেখে যেমন বোঝা যায় তার আগামী জীবন কেমন হতে পারে ঠিক সেভাবেই মানুষে আঙুল দেখাও জানা যায় তার চরিত্রে এবং ব্যক্তিত্ব কি রকম। হাতের রেখা কে যেমন জ্যোতিষশাস্ত্র বলা হয় ঠিক সেভাবেই আঙুলের গণনা কেউ বলা হয় সমুদ্রশাস্ত্র। কারণ বেশি সমুদ্রশাস্ত্র রচনা করেছেন তাই উনার নামকরণ অনুযায়ী এটিকে বলা হয়ে থাকে সমুদ্রশাস্ত্র।  এই সমুদ্রশাস্ত্র  অনুযায়ী ব্যক্তির শরীরে গঠন থাকে তাদের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে জানা যায়। এরকম ভাবেই চার ধরনের আঙুলের ব্যাখ্যা দেওয়া রয়েছে সমুদ্রশাস্ত্রে। 

১) পাতলা আঙুল —  সমুদ্র শাস্ত্র অনুযায়ী বলা হয়েছে যে সকল জাতক-জাতিকাদের আংগুল পাত্তা তারা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়ে থাকেন।  এই সকল জাতক-জাতিকারা উন্মুক্ত বিচারের হন।  এরা খুব একটা কারুর উপর নির্ভরশীল হয় না এবং অন্যকে সর্বদা আনন্দিত করে থাকেন। ভালো সম্পর্ক পালন করেন এবং অন্যের সুখ দুঃখের কথা নিয়ে চিন্তিত থাকেন। 

২) মোটা আঙুল — যে সকল জাতক-জাতিকাদের আঙ্গুল মোটা ও ভরাট হয় তারা কাজের ও সম্পর্কের বিষয়ে গম্ভীর মনোভাবের হয়।  এরা একটু কৃপণ মনোভাবের হওয়ার কারণে অর্থ সঞ্চয় করতে পারে।  এরা অন্যদের তুলনায় অপেক্ষাকৃত রাগী স্বভাবের হয় অর্থাৎ সামান্য কথাতেও প্রচুর পরিমাণে রেগে যায়। তবে এমন কিছু জাতক-জাতিকা রয়েছেন যাদের আঙুল মোটার সঙ্গে সঙ্গে তাদের  কনিষ্ঠা ও অনামিকার দৈর্ঘ্য সমান হয় এই প্রকৃতির মানুষ রাজনীতিতে তুখোড় হয়।  

৩) মধ্যমা লম্বা আঙুল –  যে সকল জাতক-জাতিকাদের মধ্যমা লম্বা হয় তারা অন্যদের তোয়াক্কা না করে নিজেরাই খোশমেজাজে থাকতে পারেন।  তবে এরা অত্যন্ত সৎ এবং গভীর স্বভাবের হয়ে থাকে। একাগ্রতা সঙ্গে সকল কাজ সম্পন্ন করে।  

৪) আঙুলের আকৃতি ছোট –  যেই সকল জাতক-জাতিকাদের মধ্যে খুব শীঘ্রই কাজ শেষ করার একাগ্রতা দেখা যায়। কারণ এরা অনেকেই দীর্ঘক্ষন কাজ করতে পছন্দ করেন না। তবে এরা খুব দ্রুত রেগে যায়। পাশাপাশি নিষ্ঠুর মনোভাবের হয়ে থাকে । খুব শীঘ্রই রেগে গেলেও এটা ধীর-স্থির স্বভাবের হয়। তবে যাদের ছোট অঙ্গুলের পাশাপাশি আরও সুন্দর করে সাজানো থাকে তারা সেই সকল ব্যক্তিরা সর্বগুণ সম্পন্ন হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *