নিউজ ডেস্কঃ মহাভারত হল পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহতম মহাকাব্য।মহাভারতের যুদ্ধের সময় নানা রকমের দিব্যাস্ত্রের প্রয়োগ করেছেন যোদ্ধারা।তাই মহাভারতের যুদ্ধের ব্যবহৃত কিছু অস্ত্রের নাম এবং এই অস্ত্র সম্পর্কে জেনে নিন।
নারায়ণাস্ত্রঃ নারায়ণাস্ত্র মানেই বোঝা যাচ্ছে যে এটা নারায়ণের অস্ত্র। এই অস্ত্রটা ছিল তিনজনের কাছে দ্রোণাচার্য, অশ্বত্থামা এবং কৃষ্ণ। কিন্তু কৃষ্ণ মহাভারতের যুদ্ধে অস্ত্রধারণ করতে পারবেন না বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন তাই যুদ্ধক্ষেত্রে এটা দ্রোণাচার্য এবং অশ্বত্থামা কাছেই ছিলো। এটা একটা তীর যা নিক্ষেপ করার পরে একটা তীর থেকে দশ হাজার তীর সৃষ্টি হয় যার ফলে একসাথে দশহাজার জনকে মারার ক্ষমতা ছিল। অশ্বত্থামা এটা একবার ব্যবহার করেছিলেন পাণ্ডব সৈন্যদের একসাথে শেষ করার জন্য।কিন্তু এই অস্ত্রটার একটি বিশেষত্ব ছিল যে এই অস্ত্র যিনি ব্যবহার করতে জানতেন তিনি এটা ঠেকাতেও জানতেন। যেহেতু কৃষ্ণ এর ব্যবহার জানতেন, আর অশ্বত্থামা কৌরবপক্ষ থেকে পাণ্ডবদের দিকে এই তীর নিক্ষেপ করেছিলেন, তাই কৃষ্ণ এই প্রতিরোধ ক্ষমতা দিয়ে এটাকে নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছিলেন।
পাশুপতঃপশুপাত অস্ত্র ছিল শিবের একটি অস্ত্র।যেটি অর্জুন শিবের তপস্যা করে লাভ করেছিলেন শিবের থেকে। এই অস্ত্রটির মধ্যে সৃষ্টি বিনাশ করার ক্ষমতা ছিল। কিন্তু মহাভারতে এই অস্ত্রের ব্যবহারের কোনও উল্লেখ নেই।
ব্রহ্মাস্ত্রঃ পৌরাণিক কালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর শক্তিশালী অস্ত্রগুলির মধ্যে একটি ছিল এই ব্রহ্মাস্ত্র। এটা ছিল ব্রহ্মার অস্ত্র।
ব্রহ্মশিরাঃ এটাও ব্রহ্মারই দানের অস্ত্র। এই অস্ত্রটি যার প্রতি নিক্ষেপ করা হবে, সে তো মারা যাবেই।এই অস্ত্রের ব্যবহার করেছিলেন অশ্বত্থামা পাণ্ডবদের বংশধর অর্থাৎ অভিমুন্যর ছেলে পরিক্ষীতকে মারার জন্য । যার ফলে মারা যায় পরিক্ষীত। কিন্তু কৃষ্ণের আশীর্বাদে জীবন ফিরে পায় পরীক্ষিত।
সুদর্শন চক্রঃ এ ছাড়াও নিজস্ব অস্ত্রের মধ্যে ছিলো কৃষ্ণের সুদর্শন চক্র। কিন্তু যুদ্ধে এই অস্ত্রের ব্যবহার করেননি কৃষ্ণ কারন তিনি মহাভারতের যুদ্ধে অস্ত্রধারণ করতে পারবেন না বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন।