চাল একাধিকবার ধুতে নিষেধ করার পেছনে কি কারন রয়েছে?
নিউজ ডেস্কঃ রান্নার আগে বাড়ির মেয়েদের চাল ধোয়ার দৃশ্য কখনও না কখনও আমাদের প্রায় সকলেরই দেখা। একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে অনেক বাড়িতেই মেয়েরা উনুনে ভাত চাপানোর আগে একখানা বড় পাত্রের জলে চাল ফেলে বার বার ধুয়ে নিচ্ছেন।এখানে প্রশ্ন করা যেতে পারে- চাল কি এইরকম ভাবে ধোয়া উচিত? এ রকমই কি চাল ধোয়ার সঠিক পদ্ধতি?
অনেকেরই হয়তো জানা নেই,এইরকমভাবে চাল ধুয়ে পরিষ্কার করতে গিয়ে তারা প্রতিদিন কি হারান। উনুনে ভাত চাপানোর আগে দোকান থেকে কিনে আনা বা গ্রামের পরিবারের মানুষদের ক্ষেত্রে ধান ভাঙানো কল থেকে তৈরি করে আনা চাল নিশ্চয়ই ভালো ভাবে ধুয়ে নিতে হবে। কারণ সে চালে ধুলো-ময়লা, তুষের কণা থাকতেই পারে।
আমরা জানি চাল আগুনে চাপিয়ে জলে ফুটিয়ে তৈরি হয় ভাত । ভাত আমরা খাই খাদ্য হিসেবে। এই খাদ্য এবং খাওয়ার খিদে থেকে নিবৃত্তি ছাড়াও এতে আমাদের দেহের নানান পুষ্টিসাধন হয়। শরীরকে রক্ষা করতে এই পুষ্টিসাধনের একান্ত প্রয়োজন।
চালের মধ্যে রয়েছে পুষ্টিগুণ বা ভিটামিন ‘বি-ওয়ান’। এই ভিটামিনে বি- ওয়ান বা থায়ামিন জলে দ্রবণীয়। অর্থাৎ জলের সঙ্গে মিশে যায়। চাল বার বার রগড়ে বা জল বদলে বদলে ধোয়া হলে ভিটামিন বি-ওয়ান জলে মিশে গিয়ে চাল থেকে আলাদা হয়ে জলের সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে আসে। এক কথায় বলতে গেলে এই প্রক্রিয়ায় ভিটামিন বি-ওয়ান নষ্ট করে ফেলছি আমরা।
এবার দেখা যাক, শরীরে এই পুষ্টিগুণটির কতখানি দরকার এবং কেন দরকার। আমাদের শরীরের এই পুষ্টিগুণটির অত্যন্ত প্রয়োজন। অভাব হলে বেরিবেরি রোগে রোগীর পা ফুলে যায়। পক্ষাঘাত হয়। হৃৎপিণ্ড দুর্বল হয়ে পড়ে। সেকারনে চালের মধ্যে বিদ্যমান ভিটামিন বি-ওয়ান যাতে নষ্ট না হয় সে ব্যাপারে আমদের সচেতন থাকা প্রয়োজন। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের অভিমত- রান্নার আগে চাল কখনোই বারবার বা বেশি ধোয়া উচিত নয়, দু’একবার ধুলেই যথেষ্ট।