আলুর কারনে রাশিয়ার একই পরিবারে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। কেন জানেন?
নিউজ ডেস্ক – আলু। এমনই একটি খাদ্য উপাদান আলু যা সব রকম তরকারিতে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও অধিকাংশ মানুষেরই পছন্দ হলো আলুর একাধিক রান্না। এবার আলুর জন্যেই মৃত্যু হল একই পরিবারের চার সদস্যের। হ্যাঁ তাজ্জবের বিষয়, তবে যেই শুনবে সেই বলবে যে সামান্য একটি আলুতে মৃত্যু হয় নাকি কারোর? হ্যাঁ বাস্তবেই প্রমাণিত হয়েছে এই ঘটনা সত্য। এমন একটি অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেছে রাশিয়া সাইবেরিয়া অঞ্চলে।
স্থানীয় লোকভাষ্যমতে কিছু মাস আগে রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চলে প্রত্যেক বছর শীতের সময় বিভিন্ন সব্জি সহ আলু সংরক্ষণ করে রাখে সাধারণ মানুষেরা। ঠিক সেই ভাবেই আলু সংরক্ষণ করে রেখেছিল মারিয়া চেলিশেভার বাবা ও মা। প্রতি বছরই আলু সংরক্ষণ করে রাখতেন তারা। ঘটে এক ব্যাপক দুর্ঘটনা। প্রত্যেক দিনের মতো এদিনও রান্না করতে গিয়েছিলেন মারিয়ার মা। কিন্তু হঠাৎই দেখেন আলু প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। এরপরই তার স্বামীকে গুদামঘর থেকে আলু আনতে বললে তিনি আনতে যান। কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরেও ফিরে আসেন না তিনি। এরপরই তার খোঁজে গুদামে গেলে তিনি আর ফিরে আসেননি। যার কারণে একে একে তাদের বড় মেয়ে ও ছেলেও গুদামে তাদের খোঁজ করতে যায়। কিন্তু সেখানেও তারা আর ফিরে আসে না। এমন দৃশ্য দেখে ৮ বছরের মারিয়া বেজায় ভয় পেয়ে যায়। এরপরের চিৎকার-চেঁচামেচি করলে স্থানীয়রা ছুটে এসে এমন ঘটনা শোনার পর থানায় খবর জানায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে শিশু মারিয়ার কাছ থেকে বিস্তারিত শুনে গুদামঘরে ফেস মাস্ক পড়ে নামেন তারা। যেখানে গিয়েই চমকে ওঠেন। কেননা গুদাম ঘরের মেঝেতে মৃত অবস্থায় পড়েছিল ওই পরিবারের চার সদস্য। যদিও প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানতে না পারায় মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় ফরেনসিক ল্যাবে। এর পরেই প্রকাশ পায় আসল সত্যতা। জানা যায় গুদামঘরে অতিরিক্ত মাত্রায় আলু পচে যাওয়ায় সেখানে নির্গত হয়েছে গ্লাইকোঅ্যালকয়েড নামের এক ধরনের সিন্থেটিক এক্সকারবেট। চিকিৎসকদের মতে আলু সহ বিভিন্ন মাটির গর্ভস্থ শাকসবজিতে এই ধরনের সিন্থেটিক এক্সকারবেট উপাদানটি সহনীয় মাত্রায় থাকে। কিন্তু যদি সেই জিনিসটি পচে যায় তার থেকে এই উপাদান বেশি মাত্রায় নির্গত হয় যেটি শরীরের পক্ষে মারাত্মক হানিকারক। এই পচা দুর্গন্ধের সঙ্গে গ্যাসীয় উপাদান মিশ্রিত হয়ে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে। এই উপাদানের মাত্রাতিরিক্ত শ্বাসক্রিয়ায় চলে যাওয়ায় মৃত্যু হয়েছে মারিয়ার পরিবারের।