হাড়ের বৃদ্ধি সাধন করতে সাহায্য করে। পাট শাঁকের অসধারন ৫ টি কার্যকারিতা
এ এন নিউজ ডেস্কঃ পাট শাক। আসতে আসতে এই শাকের চাহিদা বেশ অনেকটাই কমেছে। বাড়ির বয়স্করা এই শাক খেলেও বাচ্চাদের অনেকেরই এর প্রতি অনীহা আছে। কিন্তু অনেকরই জানা নেই যে এই শাকের পুষ্টি গুন যে বাজারের বাকি শাক গুলির থেকে বেশ বেশি।
মুখের রুচি বাড়ায়ঃ তেতো স্বাদে পাটশাক খাওয়ার রুচি বাড়ায়। মুখের স্বাদ ফিরিয়ে আনে ও মেদ বৃদ্ধির আশঙ্কা কমায়। পাট শাকের তেতো স্বাদ মুখের লালক্ষরণ করে শ্বেতসারকে ভাঙতে সাহায্য করে। এতে হজমের সুবিধা হয় ফলে খাবারের রুচি বাড়ে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ পাটশাকের ভিটামিন এ, ই এবং সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে থাকা ভিটামিন সি এবং ক্যারোটিন মুখের ঘা দূর করতে সাহায্য করে। তাছাড়া ভিটামিন সি রক্তে শ্বেত কণিকা বৃদ্ধি করে এবং ভিটামিন এ, ভিটামিন ই চোখ, হৃদপিণ্ডসহ অন্যান্য অঙ্গের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
হাড়ের বৃদ্ধি সাধন করেঃ পাটশাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম আছে যা হাড় ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। তাছাড়া এতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম এবং অন্যান্য উপাদান হাড় গঠন ও ক্ষয়পূরণ করে এবং হাড়েরভঙ্গুরতা রোধ করে।
হজম শক্তি বাড়ায়ঃ পাটশাকে থাকা খাদ্য আঁশ হজম প্রক্রিয়াকে দারুনভাবে ত্বরান্বিত করে আমাদের হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয়।এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
বাতের ব্যাথা দূর করেঃ পাটশাকে প্রচুর ভিটামিন ই থাকে। ভিটামিন ই বাতের ব্যাথা, আর্থরাইটস এবং প্রদহজনিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাছাড়া পাটশাকে থাকা উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরে যেকোনো ধরণের ক্যান্সার রোধ করতে সাহায্য করে।এতে বিদ্যমান ফলিক অ্যাসিড ত্বক ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও মানসিক চাপ দূর করে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।