হনুমানকে ব্রহ্মচারী বলার পেছনে কি কারন রয়েছে? সত্যি কি তাঁর কোনও স্ত্রী ছিল?
নিউজ ডেস্কঃ হনুমান যার শক্তি, বীরত্ব এবং প্রভু ভক্তির কথা আমাদের অজানা নয়। এছাড়াও আমরা জানি যে শ্রীরামের প্রতি অটুট নিষ্ঠা বজায় রাখার জন্য তিনি আজীবন ব্রহ্মচর্য ধারণ করেছিলেন। তবে আপনারা কি জানেন যে হনুমান বিবাহিত ছিল? হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন। এখন নিশ্চয় ভাবছেন যে হনুমান আজীবন ব্রহ্মচর্য থাকার প্রতিজ্ঞা কেন ভেঙেছিলেন এবং তাঁকে কেনই বা ব্রহ্মচর্য বলা হয়?
পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, কিশোরকালে হনুমান তাঁর মায়ের আদেশ পালন করতে সূর্যের কাছে যান শিক্ষালাভের জন্য। সূর্যদেবের কাছে গিয়ে তাঁকে শিক্ষা প্রদানের জন্য প্রার্থনা করেন। সূর্যও হনুমানকে বেদ, বেদাঙ্গ এবং উপনিষদের পাঠ দেন।তবে তিনি অবিবাহিত হওয়ায় কারনে নব বৈয়াকরণ বা ব্যকরণের নয় সূত্রের অধ্যয়ন করার জন্য যোগ্য ছিলেন না।কারণ এই অধ্যয়নের জন্য বিবাহিত হওয়া অপরিহার্য ছিল।সূর্য এই সমস্যাটি দেখে তা মেটানোর জন্য তিনি তাঁর কিরণ থেকে এক অপূর্ব সুন্দরী নারীর সৃষ্টি করেন।হনুমানের যাতে তাঁর পাঠ সম্পূর্ণ করতে পারে তাঁর জন্য তাঁর সাথে ওই সুন্দরী নারীর বিয়ের ব্যবস্থা করলেন।তবে সূর্যকে তাঁর প্রতিজ্ঞার কথা মনে করিয়ে দিলে সূর্যদেব তবে বর দেন যে তিনি বিয়ের পরেও ব্রহ্মচারী থাকবেন।যেহেতু তিনি বিশ্বজগতের কল্যাণের জন্য বিবাহ করছে তাই তাঁর বৌদ্ধিকতার হানি হবে না।
কিন্তু জৈন ধর্ম অনুযায়ী, হনুমানকে ব্রহ্মচারী হিসাবে ধরা হয় না।কারন হিসাবে জানা যায় যে রাবনের ভাই খর এবং দূষণের মেয়ে অনঙ্গকুসুমের সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়। এছাড়াও তিনি রাবন দ্বিতীয় স্ত্রী তাঁর এক ভাইঝিকে তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিলেন। এই ধর্মগ্রন্থ অনুসারে বলা হয় যে হনুমানের এক পুত্রসন্তানও ছিল। যখন সমস্ত লঙ্কাকে জ্বালিয়ে দিয়ে হনুমান সমুদ্রে ডুব দিতে যান তখন একটি বড় মাছের মুখে তাঁর দেহ নিঃসৃত ঘাম পড়লে সেখানে জন্ম হয় মকরধ্বজের।