“গীতা পাঠের চেয়ে মাঠে গিয়ে ফুটবল খেলা ভাল” বিবেকানন্দ কেন একথা বলেছিলেন?
এ এন নিউজ ডেস্কঃ স্বাস্থ্য সচেতন। শব্দটি খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু শুনতে বা বলতে আমরা যতটা ভালোবাসি, ততটাই কি মেনে চলার চেষ্টা করে থাকি? প্রশ্নটা কিন্তু সবার আগে নিজেকে করা উচিৎ। কারন স্বাস্থ্য সচেতন হওয়াটা আমাদের খুবই জরুরি এই ব্যস্ত জিবনে। কারন মানুষ নিজের ক্যারিয়ারের দিকে ফোকাস করার তাগিদে ভুলে যায় নিজের স্বাস্থের কথা। এবং তার ফলেই যত সমস্যা। বিবেকানন্দ বলেছিলেন ঘরে বসে গীতা পাঠের চেয়ে মাঠে গিয়ে ফুটবল খেলা ভালো। কারন টা কি জানেন? আসলে ঘরে বসে গিতা পাঠ করলে মস্তিস ভালো হবে। কিন্তু দুর্বল স্বাস্থ্য থাকলে তা সুস্থ মস্তিস্ক পরিচালনা করতে পারবেনা। অর্থাৎ দুর্বল শরীর দিয়ে কোনও দিনই কোনও মহৎ কাজ সম্ভব নয়।
স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সবার আগে যা প্রয়োজন তা হল শরীর চর্চা। অর্থাৎ প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করা। শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটা বা ব্যায়াম করাটা খুবই জরুরী। কারন শরীরের ওজন ঠিক রাখতে ব্যায়ামের বিশেষ গুরুত্ব আছে। স্বাস্থ্য সচেতন হতে গেলে নিজের ওজন ঠিক রাখাটাও বিশেষ জরুরী।
খাওয়া দাওয়ার উপর বিশেষ নজর দাওয়া। ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুড বা তেলে ভাঁজা খাওয়া সবার আগে বন্ধ করতে হবে। এবং তাজা ফল, সবুজ শাকসবজি খেতে হবে।
জিন একটি বড় ব্যাপার। অর্থাৎ পারিবারিক কোনও অসুখ আছে কিনা সেটা জানাটা আবশ্যিক। বিশেষ করে কার্ডিওভাস্কুলার জাতীয় কোনও রোগ আছে কিনা! সেটা জেনে রাখা উচিৎ। এবং থাকলে সেক্ষেত্রে অল্প বয়েস থেকেই সতর্ক হতে হবে। এবং ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল সর্বদা পরীক্ষা করতে হবে।
ধূমপান করা বা অ্যালকোহলের আসক্তি থেকে দূরে থাকুন। কারন এসব কিডনির বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
ক্যালশিয়াম জাতীয় খাওয়ার বিশেষ করে খাওয়া উচিৎ। কারন আজকাল প্রচুর মানুষ ক্যালশিয়ামের অভাবে ভোগেন। একটু বয়েস হলেই এর প্রভাব পড়তে শুরু করে। তাই সবুজ শাকসবজির পাশাপাশি সয়াবিনের দুধ, সামুদ্রিক মাছ এবং বাদাম খাওয়াটা বিশেষ জরুরী।
প্রতিদিন নিয়ম করে তিনটি জিনিস মেনে চলার চেষ্টা করুন, প্রথমত খেতে বসার আগে হাত ধুয়ে নিন ভালো করে। দ্বিতীয়ত ৬ ঘণ্টা করে ঘুমানো। এবং অন্তত তিন লিটার জল পান করুন।