অফবিট

টিফিনের সাথে  লবণ নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ। কোন দেশের নিয়ম জানেন?

নিউজ ডেস্ক: কোন দেশে বাচ্চাদের টিফিনের সাথে  লবণ নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ জানেন? দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের দক্ষিণ পূর্বে অবস্থিত উরুগুয়ে দেশটি ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মধ্যে অবস্থিত। আয়তনে এটি দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ। দেশটির রাজধানী মন্তেভিডিও। ও দেশটির সরকারি ভাষা হল স্প্যানিশ। এই দেশের মোট জনসংখ্যা হল প্রায় 786,552।

উরুগুয়ে দেশ সম্পর্কে আরও কিছু অজানা তথ্য হলো

1. এই দেশে প্রতি মাসের 29 তারিখে গুনুচি দিবস পালন করা হয়। এই দিবস পালন করার কারণ হলো প্রতি মাসের শেষেই প্রত্যেকের কাছে টাকা পয়সা কম থাকে এবং মাসের শেষে আর্থিক অবস্থা এমন হওয়ার কারণে তারা শুধুমাত্র সস ও পাস্তা খেয়ে থাকে যাতে কম খরচ হয়। তাই তারা প্রতি মাসের 29 তারিখে এই দিবসটি পালন করে।

2. উরুগুয়ে দেশের লোক তাদের নাচের জন্য বিশেষ পরিচিত। তারা নাচ নিয়ে সব সময় অনেক বেশি উত্তেজিত থাকে, এখানকার  ডান্স স্টেপ গুলির মধ্যে অন্যতম হলো কনডমবে। এই ডান্স মে কানকার মানুষ এতটাই পাগল যে অধীর যেকোনো অনুষ্ঠানে যে কোন পার্টিতে এই ডান্স করতে দেখা যায়।

3. এই দেশের মানুষদের অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে হার্টের অসুখ ও মোটা হয়ে যায়। যার জন্য তারা লবণ কম খান। এমনকি এখানকার রেস্তোরাঁগুলোতে ও খাবারের সঙ্গে আলাদা করে লবণ দেওয়া হয় না।

4. এমনকি এই দেশের স্কুল গুলোতে বাচ্চাদের টিফিনের সাথে  লবণ নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ।

5. এই দেশে কুড়ি হাজার একর জমিতে ওয়াইন উৎপাদন করা হয়। এই দেশের ওয়াইন খেতে অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। এমনকি এখানকার মানুষেরা ওয়াইন খেতে খুব পছন্দ করে এবং যে সকল পর্যটক এই দেশে ঘুরতে আসে তাদের ও এটি খাওয়াতে পছন্দ করে।

6. এ দেশের মানুষেরা চিভিটো খেতে খুব পছন্দ করে এটি তাদের জাতীয় খাদ্য। এটি হলো এই দেশের লোকাল স্যান্ডউইচ।

7. এই দেশটিকে পৃথিবীর নাম্বার ওয়ান গে কান্ট্রি বলা হয়। 1934 সালে এই দেশে সমলিঙ্গ তা বৈধ করা হয়েছিল। এই দেখতে স্ট্রেট মানুষ খুব কম দেখতে পাওয়া যায়। এখানে লক্ষাধিক সংখ্যক সমলিঙ্গের লোক একসাথে হাতে হাত রেখে দেখতে পাওয়া যায়।

8. এই দেশে সংস্কৃতিতে বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় মাছ দেখা শুভ মনে করা হয়।

9. এই দেশের মানুষদের মধ্যে মিষ্টি খাওয়া ও গিফট দেওয়া কে ভালো দিক বলে মানা হয়।

10. এই দেশের নামকরণ হয়েছিল উরুগুয়ে নদীর নাম অনুসারে যেটি ব্রাজিল থেকে শুরু হয়ে উরুগুয়ের বর্ডার হয়ে বয়ে চলেছে। এখানকার মানুষেরা এই নদীর থেকে মাছ ধরে জীবন যাপন করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *