অফবিট

শিশুদের প্রতি যৌনাসক্ত। এটি কি ধরনের রোগ?

নিউজ ডেস্ক – প্রতিনিয়ত দেশে নির্যাতিত হয়ে চলেছে নারী থেকে শুরু করে শিশুরা। তবে একটি কথা ভাবলেই সত্যি অবাক লাগে যে কোন ব্যক্তি কোন মানুষিকতার আসলেই একটি শিশুকে পর্যন্ত যৌন আসক্তি করতে পারে। এই সকল ব্যক্তিদের পেডোফিলিয়া বলা হয়। কারণ এই সকল ব্যক্তিরা নিজেদের বয়সে ছাড়া ছোট ছোট শিশুদের প্রতি যৌন আসক্তি হয়ে পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে  শিশুদের যৌন হেনস্থার  বিরুদ্ধে এক অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছেন  ‘ত্যার দেজ অম’ নামে একটি মানবাধিকার সংস্থা।

এই সংস্থার মাধ্যমে ডিজিটাল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রায় এক হাজার পেডোফিলিয়াকে শনাক্ত করতে সক্ষম হন তারা। বিষয়টি স্ববিস্তারিত বলতে গেলে সেই সংস্থার অভিনব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অভিযুক্তদের শনাক্ত করার পদ্ধতি বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে।‌ সেখানে দেখা যায় মানবাধিকার সংস্থাটি নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডামের একটি ভবনে কম্পিউটার-সৃষ্ট একটি ১০ বছরের মেয়ে নিজেকে ‘সুইটি’ নামে পরিচয় দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খোলে৷ তথ্য হিসেবে দেওয়া হয় যে, মেয়েটির বয়স ১০ বছর এবং সে ফিলিপাইনের অধিবাসী৷ কৃত্তিম ভাবে বানানো মেয়েটির মাধ্যমে একাধিক বিকৃত মস্তিস্কের মানুষ অর্থাৎ পেডোফিলিয়াকে  শনাক্ত করা গিয়েছে। পরবর্তীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক অ্যাকাউন্ট খোলার পর ১০ সপ্তাহের মধ্যেই ৭১টি দেশের অন্তত ২০ হাজার ব্যক্তি কম্পিউটার-সৃষ্ট সুইটিকে অর্থের বিনিময়ে ওয়েবক্যামের সামনে যৌন কর্মকাণ্ডের প্রস্তাব দেয়৷ এই সকল ব্যক্তিদের ব্যবহৃত আইডির মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ‌

তুমি এই বিষয়টির প্রসঙ্গে মানবাধিকার সংস্থার মুখপাত্র আলবার্ট ইয়াপ ফান সান্টব্রিংক জানিয়েছেন,  শিশুদের যৌন হয়রানি অনলাইনে ওয়েবক্যামের মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, যা বন্ধ করা খুব শীঘ্রই প্রয়োজন। ইউএফএম চাইল্ড সেক্সুয়াল ট্যুরিজম এর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত লাখে লাখে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে  শিশুরা। ‌ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এই সকল পেডোফিলিয়া যুক্ত  অধিকাংশ ব্যক্তিই ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে এবং সকলেরই সন্তান রয়েছে এবং কেউ কেউ আবার চিকিৎসকও।‘ভার্চুয়াল’ ক্যাম্পেইনটির প্রধান হান্স গুইট বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, হয়রানির শিকার শিশুরা যতক্ষণ পর্যন্ত না কোনো অভিযোগ দাখিল করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত পুলিশ এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে না৷ কিন্তু সাধারণত এসব শিশুরা কখনোই অভিযোগ করে না৷ তবে গণনা অনুযায়ী গোয়েন্দা বিভাগের টিমের মতানুসারে প্রতিনিয়ত যৌন হয়রানির শিকার হয়ে চলেছেন ৭ লক্ষ শিশু।‌

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *