গোয়েন্দাদের হাতেনাতে ধরা পড়ার পর কিম জং উন যে কাজটি করেছিলেন
নিউজ ডেস্ক – বর্তমানে গোটা উত্তর কোরিয়ায় যে স্বৈরশাসক সরকার কিম জং উনের কারণে আতঙ্কে তটস্থ হয়ে থাকে গোটা দেশবাসী সেই কিম জং উনই নাকি স্কুলজীবনে পর্ণোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়েছেন এমনই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। মাঝেমধ্যেই বেশ কিছুদিনের জন্য কোথায় উধাও হয়ে যায় কিম জং উন। ঠিক সেইভাবে আগের বছরে মূলত তিন সপ্তাহ ধরে কোন পাত্তা ছিলনা কিম জং উনের। মূলত কিমের গায়েব হওয়ার সময় কালে এই তথ্য প্রকাশ্যে আসে।
পুরনো ইতিহাস ঘাটলে জানা যায়, বর্তমানের কিম জং উন প্রায় সাত-আট বছর আগে সুইজারল্যান্ডে পড়াশোনা করতেন। তবে তার বাবা কোরিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক কিম জং ইলের কারণে নিজেদের পরিচয় আত্মগোপন করতে হয় কিম জং উন সহ তার ভাই বোনদের। ঠিক সেইভাবেই সুইজারল্যান্ডে শিক্ষাগ্রহণ কালীন সময় নিজেদের পরিচয় গোপন করে এক কর্মীর ছেলের পরিচয় সেখানে পড়াশোনা করতেন কিম। ১৯৯০ দশকের সুইজারল্যান্ডের বর্ণে একটি বোর্ডিং স্কুলে ভাইবোনদের সঙ্গে থাকতেন তিনি। পড়াশুনায় খুব মেধাবী না হলেও খুব বাজে ছিলেন না কিম। তবে সেই সময়ে স্কুল টেস্টের কারণে কিম নকল করে এনেছে কিনা সেটি চেক করতে তার ব্যাগ সার্চ করতেই শিক্ষকদের হাতে উঠে আসে একটি পর্ন ম্যাগাজিন। পাশাপাশি কোরীয় গুপ্তচরের মাধ্যমে পর্ণের প্রতি কিমের ভালবাসার কথা জানতে পারেন তার বাবা। মূলত বিষয়টি চারিদিকে জানাজানি হয়ে যাওয়ার পরেই কিম জং উনকে ব্যয়বহুল বেসরকারি স্কুল থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার আদেশ দিয়েছিলেন তার বাবা কিম জং ইল।
পরবর্তীতে গোয়েন্দাদের হাতেনাতে ধরা পড়ার পর কিম জং উন সহ তার ছেলেমেয়েকে দেশে ফিরিয়ে আনে। সন্তানরা পশ্চিমের সহকর্মীদের দ্বারা বিপথগামী হচ্ছে এমনটাই আশঙ্কা করেছিলেন কিম জং উনের বাবা। পরবর্তীতে অর্থাৎ ২০১৪ সালের প্রথম দিকে প্রায় ৪০ দিনের জন্য হঠাৎ গায়েব হয়ে যান কিম জং উন। তবে শুধু একবারই না এমন বহুবার কুড়ি দিন লোকচক্ষুর আড়ালে থাকার পর আবার সকলের মাঝে চলে আসেন তিনি। যখনই কিম জং উন বেশ কিছুদিনের জন্য গায়েব হয়ে যান তখনই লোকেরা মনে করেন হয়তো তিনি মারা গেছেন হয়তো বা কোন অন্য দেশে পাড়ি দিয়েছেন। ঠিক যেমন সম্প্রতি করেছেন তিনি। বিগত কয়েক দিন আগে ২১ দিনের জন্য কোথায় উধাও হয়ে গিয়েছেন কিম জং উন। এই সময়কালের মধ্যে তার দাদার ১৫ই এপ্রিল জন্মদিন থাকায় সেখানে উপস্থিত হননি কিম । যার কারণে অধিকাংশ দেশবাসীর মনে করেছিলেন করোনা মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে কিমের। এমনকি একাধিক ম্যাগাজিনেও কিমের মৃত্যুর সংবাদ ছাপানো হয়েছিল। তবে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়ে ১লা মে জনসমক্ষে এসে একটি সার কারখানা উদ্বোধন করেন কিম জং উন। কিন্তু মাঝেমধ্যে যে তিনি কোথায় গায়েব হয়ে যায় এটি এখনও দ্বন্দ্বে রয়েছে গোটা বিশ্বের কাছে।