অফবিট

শেওড়া গাছ থেকে তাল গাছ। যে গাছ গুলি বাড়িতে লাগানো উচিৎ নয়

নিউজ ডেস্কঃ ভূত আছে কি নেই এই প্রশ্নের কোনো উত্তর আজ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয় নি।তাই নিয়ে কথা বলতে গেলে শুধু তর্ক বিতর্ক চলতে থাকবে যার কোনো সমাপ্তি নেই।কারন একদল বিশ্বাস করে ভূত আছে আবার একদল বিশ্বাস করে ভূত নেই। যাই হোক যারা বিশ্বাস করে বিশেষ করে যারা বিশ্বাস করে না তাদের একটু সতর্ক হওয়া উচিত।কারন যেমন বলা যায় না যে ভূত আছে ঠিক তেমনি এটাও বলা যায় না যে ভূত নেই।তাই সতর্ক হওয়াটা উচিত যেমন  বাড়িতে গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে।কারন যেকোনো গাছ বাড়িতে লাগানো একদমই উচিত এতে ডেকে আনতে পারেন আপনাদের বিপদ।কারন মনে করা হয় যে অশরীরীয় আত্মাদের বাস হয় গাছের মধ্যেও।তবে সব গাছে ভূতের বাস না হলেও কিছু কিছু গাছ তো আছে। তাই বাড়িতে গাছ লাগানোর আগে জেনে নেওয়া উচিত সেটি লাগানো ঠিক হবে কি।এই রকম কয়টি গাছ হল সেগুলি বাড়িতে একদমই লাগানো উচিত নয়।

বট গাছ- বট গাছকে নিয়ে  প্রচলিত রয়েছে নানান ধরনের মতবাদ।বিশেষ করে এই গাছের প্রকাণ্ড রূপ দেখে মানুষের মনের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি হয়।মূলত যে সমস্ত ব্যাক্তি গাছের ডালে গলায় দরি দিয়ে আত্মহত্যা করে তাদের আত্মা সেই গাছের মধ্যেই থেকে যায়।এই কারনে অনেকে বলে থাকে যে বট গাছের ডাল ভাঙতে নেই।এছাড়াও যদি বৈজ্ঞানিক মত জানতে চান তাহলেও তারা বলবে যে এই গাছ বাড়িতে লাগানো উচিত নয়।তার কারন বট গাছ সন্ধ্যার পর  কার্বন ডাই-অক্সাইড বের হয়। এই গ্যাস বাতাসের চেয়ে ভারী হওয়ার কারনে গাছের নিচে জমা হয়। তাই এই বড় গাছের নীচে কেউ যদি রাতে ঘুমায় তাহলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের বিষক্রিয়ার কারনে সেই ব্যক্তি জ্ঞান হারাতে পারেন এমনকি তার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

শেওরা গাছ –  মাঝারি ধরনের এই গাছগুলি উচ্চতা ৪ থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।প্রচলিত লোক বিশ্বাস অনুযায়ী এই গাছে বসবাস করে বিভিন্ন ধরনের শাকচূর্ণি।মূলত যারা হিন্দু মহিলাদের ভূত।অনেকে এই গাছের নীচ দিয়ে যেতে ভয় পায়।এই গাছে এমন অনেক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে যা শুনলে গা শিউরে উঠবে।

তেঁতুল গাছ- এই গাছের উচ্চতা প্রায় ২৪ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।এবং এর ডালপালা ছড়ানো থাকে।বৈজ্ঞানিকদের মতে, তেঁতুল গাছ সন্ধ্যার পর  কার্বন ডাই-অক্সাইড বের হয়। এই গ্যাস বাতাসের চেয়ে ভারী হওয়ার কারনে গাছের নিচে জমা হয়। তাই এই বড় গাছের নীচে কেউ যদি রাতে ঘুমায় তাহলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের বিষক্রিয়ার কারনে সেই ব্যক্তি জ্ঞান হারাতে পারেন এমনকি তার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।এছাড়াও তেঁতুল গাছের সম্পর্কে রয়েছে কিছু  প্রচলিত তথ্য যে এই গাছে ভূত-পেতনিরা বসবাস করে।এই ধারনাটি অনেকে বিশ্বাস করে থাকে।যাই হোক ভূত থাকুন বা না থাকুন এটা  ঠিক যে এই গাছ কখনই বাড়িতে লাগানো উচিত নয়। 

বাঁশ গাছ-বাঁশ গাছের নীচ থেকে সন্ধ্যের পর যেত গা ছম ছম করে।বাঁশ গাছের সাথে জড়িয়ে রয়েছে এমন অনেক অদ্ভুত ঘটনা যার কোন ব্যাখা পাওয়া যায় না।যাই হোক বাঁশ গাছে ভূত থাকুক আর না থাকুন  বাস্তু বিজ্ঞান অনুযায়ীও  বাড়িতে কখনও বাঁশ গাছ লাগানো উচিত নয়। এর ফলে নানা ধরনের সমস্যা পিছু ছাড়তে চাইবে না।

তাল গাছ-  ভৌতিক ক্রিয়াকলাপের সাথে জড়িত যে গাছের নাম আমাদের মাথায় আসে তার মধ্যে একটি হয় তাল গাছ।এই গাছ কখনও বাড়িতে লাগানো উচিত নয়। কারণ এই গাছ থেকে  নির্গত হয় অশুভ শক্তি, যা বাড়ির লোকেদের ক্ষতি করতে পারে। এছাড়াও মনে করা হয়, যেই বাড়িতে তালগাছ থাকে, সেই বাড়িতে দেবী লক্ষ্মী বাস করেন না।যার ফলে বাড়িতে আর্থিক সংকট দেখা দিতে পারে এই গাছ থাকলে।তাই তাল গাছ বাড়িতে লাগানো একদমই উচিত নয়। 

তুলো গাছ- এছাড়াও বাস্তু বিজ্ঞান অনুযায়ী,তুলো গাছকেও অশুভ বলে মানা হয়ে থাকে।তাই এই গাছও কখনই বাড়িতে লাগানো উচিত নয়।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *