স্ন্যাক্সের কারনে ক্যান্সার বাড়ছে
নিউজ ডেস্কঃ আজকালকার প্রজন্মের কাছে কোল্ড ড্রিংক থেকে শুরু করে চিপস রোজকার বিষয়। কোনও পার্টি থেকে শুরু করে ছবি দেখতে গেলে এই দুটি জিনিস লাগবেই। সিনেমা দেখতে দেখতে খাওয়ার মজাই নাকি আলাদা। আর সেই কারনে সেইভাবে বাড়ছেও এর বিক্রি। ফাস্ট ফুডের পাশাপাশি আজকাল আবার মেইন কোর্সেও চিপস থাকছে।বিশেষ করে ৭০ এর দশকের পর থেকে পটেটো চিপস এর বিক্রি চোখে পড়ার মতো। কিন্তু এই প্রিয় খাওয়ারের মধ্যেই রয়েছে মারাত্মক ব্যাধি।
বাচ্চারা দের পাশাপাশি আজকাল বড়রাও কাজের ফাঁকে, চা বিরতিতে বিস্কুট, রুটির বদলে টক-ঝাল-নোনতা এই কুড়কুড়ে চিপস বেশি পছন্দ করছেন ৷ তবে সবচেয়ে ক্ষতিকর ব্যাপার হল এই যে এই মজার স্ন্যাক্স ক্যান্সারের বাহক হওয়ার জন্য দায়ী উপাদান বহন করছে, যার নাম এক্রাইলামাইড বা এক্রিলামাইড(Acryl amide)।
সুইডিস ন্যাশনাল ফুড অথোরিটি এই বাস্তব সত্যটা আবিষ্কার করেছে বেশ কিছুদিন আগে। তাদের এই গবেষণায় যা রিপোর্ট এসেছে তা হল, আলু হল উচ্চ শ্বেতসার সমৃদ্ধ সবজি বা শস্য। এই আলুর অতি পাতলা করা স্লাইস অতিরিক্ত লবন, ছাঁকা তেলে অনেকক্ষন ভাজাসহ সংরক্ষন করতে প্রচুর পরিমাণে তাপ ব্যবহার করতে হয়, যার ফলে খাওয়ারের গুনাগুন অনেকটা নষ্ট হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এক্রাইলামাইড জাতীয় জটিল জীবননাশক যৌগ তৈরিতে এটি একটি বিরাট ভূমিকা পালন করে।
এক্রাইলামাইড খুব দ্রুতগতিতে মানবদেহে ক্যান্সারের বাসা বাঁধতে সাহায্য করে। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রায় খাদ্যগুনাগুন বজায় রেখে চিপস তৈরি করা সম্ভব। তবে সেক্ষেত্রে প্রস্তুতকারকদের সদিচ্ছা থাকাটা খুব দরকার। পাশাপাশি ব্যবস্থাপনা কমিটির নিয়ন্ত্রনে তা সহজেই করা যেতে পারে।