অফবিট

কয়েক সেকেন্ডে মৃত্যু ঘটাতে পারে পৃথিবীর ভয়ংকর যে ৫ টি বিষ

নিউজ ডেস্ক –  বিষ কতদিন শুনলে প্রথমেই ইত্যাদি মাথায় আসে সেটি হল সাপের বিষ। ‌ তবে প্রকৃতি তৈরি প্রাণী ছাড়াও মনুষ্য তৈরি এমন বহু বিষ রয়েছে যা মানুষের জীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই সকল বিষাক্ত বিষের নিরিখে পৃথিবীতে এমন মারাত্মক বিষের অস্তিত্ত রয়েছে মোট পাঁচটি। সেগুলির ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা এতটাই তীব্র যে হালকা সংস্পর্শে আসলে মৃত্যু ঘটতে পারে যেকোনো মানুষের। এই সকল বিষাক্ত বিষ পাওয়া যায় মূলত পাঁচটি দেশে। বর্তমানের আলোচ্য বিষয় এই বিষাক্ত বিষ। 

১) সেরিন: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় শত্রুদের স্নায়ু ধ্বংস করতে ব্যবহৃত করা হয়েছিল এই বিষাক্ত বিষ সেরিনের। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ ছাড়া এটি পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে জাপানের টোকিও সাবওয়েতে  হামলার সময় এই বিষ ব্যবহার করা হয়েছিল। কারণ এই বিশ্বের ধ্বংসাত্মক কতা এমনই যে  কোন মানুষ এর সংস্পর্শে আসলে তার নার্ভ ক্রিয়া-কলাপ অচল হয়ে পড়ে এবং মানুষের মৃত্যু ঘটে প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে। কার্যত পরীক্ষা করে দেখা যেতে পটাশিয়াম সায়ানাইডের  থেকেও ২৬গুণ মারাত্মক।

২) ভি-এক্স: এই বিষাক্ত বিষটি এতটায় ভয়ঙ্কর যে ১৯৯৩ সালে বৃষটিকে বাজারে বিক্রি করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। ভিএক্স মূলত সেরিনের মতোই কাজ করে। তবে এর প্রভাব সেরিনের থেকে কয়েক গুণ বেশি। কারণ যে সকল ব্যক্তি এই বিষয়ে সংস্পর্শে আসবে তাদের শরীরে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বিষক্রিয়া ঘটে শ্বাস প্রশ্বাস প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু ঘটবে তার। 

৩) অ্যারো ব্যাঙ্গ: অ্যারো ব্যাংক ও প্রকৃতির বহু প্রাণীর শরীরে পাওয়া গেছে বেশ। কিন্তু অ্যামাজনের জঙ্গলে থাকা এই ব্যাংক ছাড়িয়ে গিয়েছে গোটা বিষধর প্রাণী কূলকে। জানা যায় ব্যাঙ এর আকৃতি একটি মানুষের বৃদ্ধাঙ্গুলির সমান। কিন্তু এই ব্যাঙের শরীরে যে পরিমাণ বিষ রয়েছে তা দিয়ে ১০ জন মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। এই ব্যাংকের শরীরে ব্যাকট্রোসিন নামের এক মারাত্মক বিষ রয়েছে। যা মানব শরীরে প্রবেশ করতেই ইতা স্নায়ুতন্ত্র ও হৃদপিন্ডের পেশীর ক্রিয়া-কলাপ বন্ধ করে দিয়ে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই থাকে সঙ্গে পরিচয় করাতে পারে। 

৪) পলোনিয়াম ২১০: বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ধ্বংসকারী ও প্রথম স্থান অধিকার কারী বিষ হলো পোলোনিয়াম ২১০. কারণ এই বিষটির এতটাই ধ্বংসাত্মক কথা রয়েছে যা সায়ানাইড এর থেকে কয়েক লক্ষ গুণ বেশি। এই বিশেষ সাহায্যে বহু নামে মানুষকে খুন করা হয়েছে। তাছাড়া এর সংস্পর্শে আসলে প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে।   তবে এটা শুধু বিষ নয় এটি একটি তেজস্ক্রিয় পদার্থ কারণ এই বিষয়ের থেকে আলফা কণার নিঃসরণ হয়।

৫) বেটোনিলাম টক্সিন: এই বিষটি এতটাই মারাত্মক যে এক চা চামচ পরিমাণ বিষ দিয়ে পৃথিবীর এক বিলিয়ন মানুষকে মারা যাবে। কার্যত কিছু প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে এই বিষ। যা কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে নিউরোটক্সিন অর্থাৎ মানুষের স্নায়ু  তন্ত্রের উপর আঘাত করে তাকে খুন করার ক্ষমতা রাখে। তবে এই বিষটির একটি ভাল গুণ রয়েছে। অতিরিক্ত ঘামা বা মাইগ্রেনের ব্যথার ওষুধে সামান্য পরিমাণে ব্যবহার করা হয় এই বিষটিকে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *