শামুকের এক ফোঁটা বিষেই আপনার মৃত্যু ঘটতে পারে। কোন প্রজাতির এই শামুক গুলি?
শামুক খুবই শান্ত প্রজাতির প্রাণী হিসেবে পরিচিত। এর ছোট্ট আকার আর শান্ত প্রকৃতির জন্য একে একদমই ভয়ঙ্কর প্রাণী হিসেবে ধরা হয় না।তবে অস্ট্রেলিয়ায় মার্বেল কোন স্নেইল নামে এক প্রজাতি রয়েছে যারা অন্য সাধারণ শামুকের চেয়ে একেবারেই আলাদা। বিশ্বের সবচেয়ে বিষধর প্রাণীর মধ্যে অন্যতম এই মার্বেল কোনা শামুক। ত্রিকোণাকৃতির অত্যন্ত সুন্দর এই শামুকের আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ বলে মনে হলেও এই শামুকের ভেতরই লুকিয়ে আছে তরল বিষ। এ শামুকগুলোর অনেকটা হুলের মতো বিশেষ এক ধরনের অঙ্গ রয়েছে যা দিয়ে এরা বিষ নিঃসরণ করে।
মাত্র ৬ ইন্চি লম্বা আর ৭-৮ গ্রাম ওজনের এই শামুকের বিষ যে এত তীব্র হতে পারে তা এদের দেখে বোঝার কোন উপায় নেই। এদের খাদ্যাভ্যাস ও নেহাতই স্বাভাবিক। নানা রকম সামুদ্রিক কীট-পতঙ্গ ও ছোট মাছ খেয়ে এরা বাঁচে। সমুদ্রের এই শামুক সর্বোচ্চ ৯০ মিটার গভীর পর্যন্ত যেতে পারে । তবে,ছোট এই শামুকের বিষ এতটাই শক্তিশালী হতে পারে যার এক ফোটা বিষ দিয়ে ই ২০ জন মানুষকে মারা যায়।
যদিও এই শামুক তাদের বিষ শিকার ধরার কাজে ব্যবহার করে তবে,মানুষের সংস্পর্শে এলে এরা অনেক সময় আক্রান্ত বোধ করে আক্রমন করে বসে। এর দ্বারা মানুষ আক্রান্ত হবার সাথে সাথে অথবা কয়েকদিন পরেও এর লক্ষণ দেখা যায়। যা তীব্র যন্ত্রণা, ফুলে যাওয়া, অনুভূতিহীন এবং ব্যাথায় টন টন করা ইত্যাদি হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় , মাংশপেশির সংকোচন, দৃষ্টিশক্তির পরিবর্তন এবং শ্বাসকষ্ট।সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যপার এই বিষের কোন প্রতিষেধক নেই।