ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। লবনের ৫ টি অসাধারন উপকারিতা
রোজকার রান্নায় লবণ এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যে কোন খাবারে মশলা যতই থাকুক তাও লবণের অভাব হলে খাবারের স্বাদ টাই মাটি হয়ে যায়।তাই লবণ ই যে যেকোনো খাবারের প্রাণ, তা বলা যেতেই পারে ।কিন্তু যদি বলি ত্বকের যত্নে ও ব্যবহার করা যায় লবণ? অবাক হবেন না ।কাঁচা লবণ শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হলেও ত্বকের জন্য এটা কিন্তু এটা সত্যিই বেশ উপকারী।লবণের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যেগুলি ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী । আসুন জেনে নেই ত্বকের যত্নে কিভাবে লবণ ব্যবহার করা যায়।
ব্রণ দূর করতে
যেহেতু লবণের ব্যাকটেরিয়া নাশক গুণ রয়েছে তাই ব্রণ দূর করতে লবণ বেশ ভালো কাজ দেয়। এটি ত্বক থেকে যাবতীয় ধুলো-ময়লা যেমন শুষে নেয় তেমনি ত্বকের বাড়তি অয়েল ও নিয়ন্ত্রণে রাখে ।ফলে লবণের ব্যবহারে ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া যেমন দূর হয় তেমনি ত্বকে থাকা ব্রণ ও ক্রমশ শুকিয়ে যায় ।
ত্বক থেকে ব্রণ দূর করতে লবণ ও জল একটি ছোট পাত্রে মিশিয়ে তারমধ্যে তুলো দিয়ে ব্রণের ওপর নিয়মিত লাগান ।দেখবেন ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে ব্রণ এবং একসময় তা মিলিয়ে যাবে ।এছাড়াও লবণযুক্ত টোনার ও কিন্তু ব্যবহার ব্রণ দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন ।
ত্বককে এক্সফলিয়েট করতে
নিয়মিত ভালো করে মুখ পরিষ্কার না করলে ত্বক নির্জীব ও শুষ্ক হয়ে ওঠে ।ত্বকে থাকা মৃত কোষ গুলি ত্বককে করে তোলে খসখসে ।এক্ষেত্রে মৃত কোষ সরিয়ে ঝলমলে ও নরম ত্বক পেতে ব্যবহার করতে পারেন লবণ ।ঘরোয়া উপায়ে এক্সফলিয়েট করার জন্য অনেকেই চিনি ব্যবহার করে থাকেন। তবে,লবণ ব্যাকটেরিয়া নাশক হওয়ায় চিনির থেকে ত্বকে লবণ বেশি ভালো কাজ দেয় ।নিয়মিত লবণ ব্যবহার করলে ত্বকের লোমকূপ থাকে পরিষ্কার এবং ত্বক মসৃণ ও টানটান হয়ে ওঠে। তবে মুখে লবণ ব্যবহার করলে খেয়াল রাখবেন ম্যাসেজের সময় খুব জোরে যাতে ত্বকে প্রেসার না পড়ে কারণ তাতে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
ত্বকের আদ্রতা ফিরিয়ে আনতে
দূষণ,নিয়মিত রূপচর্চার অভাব,ক্ষতিকারক সূর্যরশ্মি প্রভৃতি ত্বককে করে তোলে হয় শুষ্ক আর না হলে খুব বেশি তৈলাক্ত । অথচ ত্বকের স্বাস্থ্যকর আর্দ্রতায় যেন উধাও হয়ে যায় ।এই ক্ষেত্রে লবণ ব্যবহার করলে ত্বক থেকে বাড়তি তৈলাক্তভাব যেমন দূর হবে তেমনি ত্বকে ফিরে আসবে স্বাস্থ্যকর আদ্রতা ।লবণে থাকা বিভিন্ন মিনারেল যেমন ক্যালসিয়াম ম্যাগনেশিয়াম প্রভৃতি ত্বকের আদ্রতা সঞ্চার করে এবং ত্বক করে তোলে সুস্থ ।
অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে
যে কোনো ছোটখাটো কাটাছেঁড়ায় লবণ খুব ভালো কাজ দেয় অ্যান্টিসেপটিক হিসাবে ।কোন অংশ কেটে গেল অথচ হাতের সামনে অ্যান্টিসেপটিক পাচ্ছেন না ?এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন লবণ ।এছাড়াও ত্বকের যেকোনো ইনফেকশন দূর করতে ও ব্যবহার করতে পারেন লবণ । 2 টেবিল চামচ লবণ ও চার কাপ গরম জল মিশিয়ে স্নানের জলে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন এতে ত্বকে থাকা যে কোনরকম ইনফেকশন এ পাওয়া যাবে আরাম ।
প্রাকৃতিক ডিওডোরেন্ট হিসেবে
গরমকালের রোদের ঘামে শরীরের ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বেশ কিছুটা বেড়ে যায় ।আর তা থেকেই সৃষ্টি হয় নানারকম দুর্গন্ধ ।এই দুর্গন্ধ কমাতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন লবণ । লবণের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ভেজিটেবল অয়েল মিশিয়ে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করুন ত্বকে দেখবেন যে কোনো রকমের গন্ধ নিমেষে উধাও হয়ে যাবে ।